Last Updated: July 15, 2014 15:41

রাজ্য বিদ্যুত্ পর্ষদের নিয়োগ পরীক্ষায় সামনে চলে এল বড়সড় দুর্নীতি। অভিযোগ উঠেছে স্বজনপোষণের। প্রথমবার সফল পরীক্ষার্থী বাছাইয়ে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও একই এজেন্সিকে দ্বিতীয়বারও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাও আবার এজেন্সির কমিশন বাড়িয়ে। বিদ্যুত্মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ পৌছনর পরই বাতিল করা হয়েছে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষা।
রাজ্য বিদ্যুত্ পর্ষদে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল। দুশো উনপঞ্চাশটি শূন্যপদ পূরণের জন্য একই পরীক্ষা নেওয়া হয় দু-বার । অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার, অ্যাসিস্টেন্ট কোম্পানি সেক্রেটারি, জুনিয়র এক্সিকিউটিভ, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র ইলেকট্রিকাল-সিভিল সহ একাধিক পদের জন্য গত বছর ২৯সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজার। যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি বেসরকারি এজেন্সিকে।
প্রথমবার জেনারেল পরীক্ষার্থীদের জন্য ফর্মের দাম নেওয়া হয় চারশো টাকা। এবং এসসি, এসটি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম কিনতে হয় ২৫০ টাকা দিয়ে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীপিছু ওই এজেন্সি কমিশন পায় একশো সাতাশ টাকা করে। অর্থাত্ পঁচিশ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য প্রাপ্য অর্থ দাঁড়ায় প্রায় ৩১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা।
এত বিশাল পরীক্ষাপর্বের পরেও পর্যাপ্ত যোগ্য পরীক্ষার্থী মেলেনি বলে জানিয়ে দেয় ওই এজেন্সি। ইন্টারভিউয়ের জন্য ২৫ হাজারের মধ্যে হাতে গোনা পরীক্ষার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয় ।
এরপরই ওই সমস্ত পদের জন্য আরও একবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এবং প্রথমবার যোগ্য প্রার্থী খুঁজে দিতে অসফল হলেও ওই এজেন্সি দ্বিতীয়বারেও পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পেয়ে যায়। এবার তাদের কমিশনও আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু আট টাকা বেড়ে তা দাঁড়ায় ১৩৫। গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার লিখিত পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সাড়ে সাত হাজার। অর্থাত্ একই পরীক্ষার জন্য এবার এজেন্সি হাতে পেয়ে যায় ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
বেনিয়মের খবর বিদ্যুত্মন্ত্রী মণীশ গুপ্তের কানে পৌঁছনর পরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁর নির্দেশে ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে দ্বিতীয়বারের পরীক্ষা। কেন ওই একই একই এজেন্সিকে দায়িত্ব দেওয়া হল, তারও জবাব তলব করেছেন মন্ত্রী।
First Published: Tuesday, July 15, 2014, 15:41