Last Updated: June 17, 2014 20:53

মাত্র ৩৭ বছর বয়সে হঠাত্ই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে প্যারালিসিস হয়ে যায় মেয়ের। তারপর থেকে টানা ২২ বছর ধরে মেয়ের মাথার কাছে অবিরাম গান গেয়ে চলেছেন মা। নিজে খেতে পারেন না, হাঁটতে পারেন না, কথাও বলতে পারেন না। কিন্তু, মায়ের গান শুনে ঠোঁট নাড়েন মেয়ে। আর এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মেয়ের সঙ্গেই একই হাসপাতালে মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন মা।
অসুস্থ হওয়ার আগে সফল আর্কিটেক্ট হিসেবে কাজ করতেন পলিন মারনে। হঠাত্ই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে জীবনে। কর্মক্ষমতা হারান পলিন। তারপর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কেটে গেছে দুদশকেরও বেশি সময়। আর এই দুদশক ধরে তাঁর মাথার কাছে বসে পলিনের প্রিয় গানের কলি গেয়ে চলেছেন মা পেগি মারনে। গত নভেম্বর মাসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাঁর যকৃতে। চিকিত্সকরা জানিয়ে দিয়েছেন মাত্র ৬ মাস সময় রয়েছে আর হাতে। আর এই সময়টুকু মেয়ের সঙ্গে একই হাসপাতালে কাটাচ্ছেন মা। শক্তি ফুরিয়ে এলেও কমছে না মনের জোর। এখনও একইভাবে গেয়ে চলেছেন মেয়ের প্রিয় গানের কলি।
হাঁটতে পারেন না কেউই। তবু হুইলচেয়ারে পাশপাশি বসেই নিজেদের মতো করে বাঁচেন তাঁরা।
First Published: Tuesday, June 17, 2014, 20:58