Last Updated: June 24, 2014 10:42

আজ জামায়েত ইসলামীর আমির মতিউর রহমানে নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের সময় হত্যা, লুঠপাট, ধর্ষণ, উষ্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পণা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মত ষোলোটি অভিযোগ রয়েছে। দুহাজার দশ সালের উনত্রিশে জুন মতিউর রহমান নিজামীকে একটি মামলায় গ্রেফতার করার পর সেবছরের দোসরা আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর গত বছরের এগারোই ডিসেম্বর জামায়েতের আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চার্জ গঠন করা হয়।
আঠাশে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বিচার। নিজামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তারমধ্যে একাত্তরের ডিসেম্বরে পাবনার বেড়া থানার বৃশালিকা গ্রাম ঘেরাও করে সত্তরজনকে গুলি করে হত্যা ও বাহাত্তরটি বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা। ডেমরা ও বাউশগাড়ি গ্রামে সাড়ে চারশোজনকে গুলি করে হত্যা, সাঁইথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে মন্দিরের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা, ধর্ষণসহ লুঠপাট। সাক্ষ্য ও জেরা শেষে তেসরা থেকে ছয় নভেম্বর প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে প্রথম দফার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু আসামীপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলে ট্রাইব্যুনাল। একত্রিশে ডিসেম্বর এক নম্বর ট্রাব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ATM ফজলে কবীর অবসগ্রহণ করেন। ফলে সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকে শুনানি। নতুন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম এনায়েতুর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর আসামীপক্ষের আবেদনে গত ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি নতুন করে শুনানি শুরু হয়। গত ছাব্বিশে মার্চ থেকে নিজামীর মামলায় দ্বিতীয় দফার শুনানি শুরু হয়। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর মামলার রায়দানের দিন ঘোষণা হয়। সোমবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশের এক নম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালজানিয়েছে, মঙ্গলবার জামায়েত ইসলামীর আমির মতিউর রহমানের সাজা ঘোষণা হবে। তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের সময় হত্যা, লুঠপাট, ধর্ষণ, উষ্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পণা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মত ষোলোটি অভিযোগ রয়েছে। নিজামীর এই রায় হবে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার দশম রায়।
First Published: Tuesday, June 24, 2014, 10:42