Last Updated: November 26, 2013 19:26

ইন্টারন্যাশনল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) পাখিদের নতুন রেড লিস্ট অনুযায়ী ভারতের ১৫টি পাখি প্রজাতি বর্তমানে বিপজ্জনক ভাবে অবলুপ্তির পথে। আরও তিনটি পাখি প্রজাতি আগের তুলনায় বেশি অনেক বেশি বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এই তিন প্রজাতির পাখিকে 'নিয়ার থ্রেটেনড' ও 'ভালনারেবল' বিভাগে ফেলা হয়েছে।
রেড লিস্টে থাকা বিপজ্জনকভাবে অবলুপ্তির পথে পাখিগুলি হল- হোয়াইট বেলিড হেরন, বেঙ্গল ফ্লোরিকান, গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড, জর্ডনস কারসার, সোসিয়বেল ল্যাপউইং, ফরেস্ট আউলেট, ভারতীয় শকুন, লালা-মাথা শকুন, সাদা পিঠ শকুন, লম্বা গলা শকুন, হিমালয়ান কুইল, গোলাপি মাথা হাঁস।
'নিয়ার থ্রেটেনড' গোষ্ঠীভুক্ত পাখি গুলি হল- রিভার লাপউইং, রিভার টার্ন।
'ভালনারেবল' গোষ্ঠীভুলত পাখি - লম্বা লেজের পাতিহাস
এই পাখিদের ওয়েটল্যান্ড ও নদী তীরবর্তী বাসস্থানের দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে এই তিন প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা দ্রুত গতিতে কমে যাচ্ছে।
নগরায়ন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে জঙ্গল, ওয়েটল্যান্ডের পরিমাণ বিপুলভাবে হ্রাস হওয়ার ফলে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে এই পাখিদের স্বাভাবিক বাসস্থান। স্বাভাবিক বাসস্থানের অভাবে পাল্লা দিয়ে কমছে পাখিদের সংখ্যা। এর ফলে বহু পাখি প্রজাতির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ঘাসজমির পরিমাণ হ্রাস হওয়ার ফলে দ্রুত হারে কমছে গ্রেট ইন্ডিয়ন বাস্টার্ড, বেঙ্গল ফ্লোরিকোন, জর্ডনস কারসারের সংখ্যা। মধ্য ভারতের পর্ণমোচী জঙ্গলের ধ্বংস হওয়ার ফলে কমে গেছে ফরেস্ট আউলেটের সংখ্যা। পশ্চিমঘাট ও হিমালয় পর্বতের উপর অবস্থিত জঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে। তার সঙ্গেই হারিয়ে যাচ্ছে বহু পাখির প্রজাতি।
রাসয়ানিক পদার্থ ডাক্লোফেনাকের অতিরিক্ত নির্গমন বিপজ্জনক ভাবে কমিয়ে দিচ্ছে শকুনের সংখ্যা।
পক্ষী বিশারদ ও প্রাণীবিদরা জানিয়েছেন অবশিষ্ট বাসস্থানের বিজ্ঞানসম্মতভাবে সংরক্ষণ না করলে অচিরেই পৃথিবীর বুক থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে পাখিদের এই ১৫টি প্রজাতি।
First Published: Tuesday, November 26, 2013, 22:42