Last Updated: December 14, 2011 11:39

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদ কাণ্ডের মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে
১৭০। সরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা অবশ্য ১৬৬। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
ভর্তি শতাধিক মানুষ। ফলে মৃত্যু মিছিলের এই স্রোত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা
রয়েছে পুরোমাত্রায়। ফলে মৃত্যু মিছিলের এই স্রোত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে পুরোমাত্রায়।
পুরো ঘটনার সঙ্গে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার পাশাপাশি জোড়াল ভাবে উঠে আসছে রাজ্য প্রশাসনের নির্বিকার, গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কথা। গতকাল বিকেলে মুকুল রায়, শ্যামল মন্ডলদের দায়সারা সফরের সাক্ষী হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সংগ্রামপুরমুখী হননি তৃণমূলের কোনও নেতা-মন্ত্রী। অথচ প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে প্রতিনিয়ত ভেসে আসছে মারণ-আরকে আক্রান্তদের খবর। অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে টেম্পো, ম্যাটাডর, ইঞ্জিন ভ্যানে তুলে বিষমদের শিকার হতদরিদ্র মানুষগুলিকে পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে।
এই সংগ্রামপুর গ্রামে দশ থেকে বারোটা বেআইনি মদের ঠেক রয়েছে। সেখান থেকে বিষমদ বেচাকেনা হয়েছিল বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। পুলিসকে প্রথম খবর দেন গ্রামবাসীরা। সিপিআইএম বিধায়ক আব্দুল রেজ্জাক মোল্লার নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় বাম প্রতিনিধি দল। ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই চোলাই মদ কারবারের মূল কারবারিকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিস।

ডায়মণ্ডহারবার মহকুমা হাসপাতাল, মগরাহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাণেশ্বরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং নার্সিংহোমে ভর্তি অসুস্থরা। কলকাতার এম আর বাঙুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ভর্তি রয়েছেন কয়েকজন বিষমদ-পীড়িত। বিষমদ কাণ্ডের শিকারদের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিত্সা সরঞ্জাম না থাকায় মৃতের তালিকা দীর্ঘায়িত হয়েছে। কলকাতা থেকে মেডিক্যাল টিম পৌঁছনোর আগেই কার্যত বিনা চিকিত্সায় মারা যান অনেক বিষমদ-পীড়িত। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাসেও তাই প্রশমিত হচ্ছে না ক্ষোভ।
First Published: Friday, December 16, 2011, 13:10