দাউদকে ধরতে বদ্ধপরিকর ভারত

দাউদকে ধরতে বদ্ধপরিকর ভারত

দাউদকে ধরতে বদ্ধপরিকর ভারত ডাইদ ছিলেন পাকিস্তানেই। পাক দূতের এই স্বীকারক্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিল ভারত। ৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ মামলা এখনও চলছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। ফলে বিস্ফোরণের মূল চক্রীদের হাজতের পেছনে পাঠাতে ভারত যে এখনও বদ্ধ পরিকর, তাই স্পষ্ট করতে চেয়েছেন তিনি।

বিদেশ মন্ত্রকের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক শনিবার বলেন, "পাক আধিকারিকের মন্তব্যের কথা আমরাও শুনেছি। ১৯৯৩-এর মুম্বই বিস্ফোরণের সম্পর্কে নানা তথ্য আমরা এখনও পাচ্ছি। এই বিষয়টি আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।" মুম্বইয়ের নাগরিকদের বিচার পাওয়ার স্বার্থে তনন্তের শেষ দেখে ছাড়া হবে বলে জানিয়ছেন তিনি। সেইসঙ্গে দাউদের বর্তমান আস্তানা সম্পর্কে পাক সরকার ওপর চাপ বজায় রাখা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

৯৩ এর বিস্ফোরণ মামলায় `মোস্ট ওয়ান্টেড`-এর তালিকায় রয়েছেন দাউদ ও তাঁর ডান হাত হিসাবে পরিচিত টাইগার মেনন।

গতকালই দুই দশকে প্রথম দাউদের পাকিস্তানে থাকার কথা স্বীকার করে ইসলামাবাদ। এই স্বীকারোক্তি শোনা যায় খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিশেষ দূত শাহরিয়ার খানের মুখ থেকে। যদিও তাঁর দাবি, এখন আর পাকিস্তানে নেই কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার। পাক ভূখণ্ড থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে। লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলায় সময় এই বিস্ফোরক স্বীকারক্তি করেন শাহরিয়ার খান।

তিনি বলেন,``পাকিস্তানেই ছিল দাউদ। কিন্তু আমার বিশ্বাস ওকে পাকিস্তান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যদি দাউদ এখনও পাকিস্তানে থাকত তাহলে ওকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হত। দাউদের মতো গ্যাংস্টারকে পাকিস্তানের মাটি থেকে কাজ চালাতে দিতে পারি না আমরা।``

পাকিস্তানে নেই দাউদ। এখন তাহলে কোথায়? এই প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া গেল শাহরিয়ার খানের কাছেই। পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ সচিবের বক্তব্য, ``আমার ধারণা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আছে দাউদ। নওয়াজ শরিফ সরকার সবসময়ই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। শুধু পাকিস্তান নয়, যারা অন্যান্য দেশেও হামলা চালাচ্ছে, তা ভারতই হোক বা আফগানিস্তান কিংবা অন্য কোনও দেশ, তারা রেহাই পাবে না। দেশের ভিতরে অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত হতে দিতে পারি না আমরা। তারা পাকিস্তানে পা রাখলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমার মনে হয় এই কারণেই দাউদ পাকিস্তান ছেড়ে চলে গেছে।``


First Published: Saturday, August 10, 2013, 19:34


comments powered by Disqus