Last Updated: January 31, 2013 17:10
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে ১৫ বছর। রাষ্ট্রপ্রধান চার্লস দে গলের ফরাসী সেনাবাহিনী দখলদারী চালাচ্ছে আলজিরিয়ায়। সেই দখলদারীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লিখে চলেছেন আধুনিক ফ্রান্সের ভলতেয়র, চিন্তাবিদ জ্যঁ পল সার্ত্র। সাধারণ মানুষের কণ্ঠে বিক্ষোভের সুর এনে দিচ্ছে তাঁর লেখনী। স্বভাবতই রেগে আগুন দ্য গলের মন্ত্রিসভার একাংশ। নিষিদ্ধ করা হোক সার্ত্রকে, এমন দাবি নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে হাজির হন মন্ত্রীরা। তাঁদের নিবৃত্ত করতে দ্য গলের ঐতিহাসিক উক্তি, `রাষ্ট্র কখনও তাঁর ভলতেয়রকে জেলে পোরে না`।
স্বাধীনোত্তর ভারতে এই দ্বন্দ্বে রাষ্ট্র বহুক্ষেত্রেই দ্য গলের স্থৈর্য্য রাখেনি। জেলে না পুরলেও নির্বাসনে পাঠিয়েছে। যেমন সলমন রুশদি। অথবা গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই গণতন্ত্র হরণের চেষ্টায় নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বরূপম। পুলিসের জেরার মুখে বসতে হয় আশিস নন্দীকে।
অন্যদিকে, ২০০৫ এর সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের পত্রিকা জিল্যান্ড পোস্টেনে হজরত মহম্মদের কার্টুন প্রকাশিত হয়। সমালোচনা আর বিতর্কের ঝড় ওঠে বিশ্ব জুড়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না এই যুক্তিতে প্রাথমিক ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না। বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নেয়। সারা বিশ্বে হিংসার আগুনে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়।
কী মনে করেন আপনি? মত প্রকাশের স্বাধীনতার বনাম সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা। এই দ্বন্দ্বে কোন পথে যাবে প্রশাসন? নিচে কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত জানান। আপনার মতামত প্রচারিত হবে আপনার রায় অনুষ্ঠানে।
First Published: Thursday, January 31, 2013, 17:45