Last Updated: November 16, 2012 18:33

২০০৮ সালে টুজির লাইসেন্স আর স্পেকট্রামের যথোপযুক্ত নিলাম না হওয়ায় দেশের ১.৭৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিএজির তোলা এই দাবিকে খণ্ডন করতে এই সপ্তাহে স্পেকট্রাম থেকে আয়ের দলিল পেশ করলেন কেন্দ্র। শুক্রবার চিদাম্বরম ও কপিল সিব্বলের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী জানান, "টুজি স্পেকট্রাম প্রসঙ্গে সিএজির তোলা হিসেব সম্পূর্ণ মিথ্যা।" কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল আরও এক পা এগিয়ে দাবি তুলেছে, সিএজির এহেন মন্তব্যে ভারতীয় টেলিকম শিল্পের ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে।
সিএজির পেশ করা রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১২২টি টেলিকম লাইসেন্স বাতিল করে। সিব্বলের বয়ান অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে স্পেকট্রাম নিলাম থেকে ৯ হাজার ৪০৭ কোটি আয় হয়েছে। নিলামের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা এখনই উচ্ছ্বসিত হচ্ছি না, উপভোক্তারা এর লাভ না পাওয়ায় আমি দুঃখিত।"
সেইসঙ্গে, এদিন নতুন করে আরও একবার স্পেকট্রাম নিলামের কথা ঘোষণা করেছেন কপিল সিব্বল। টুজি স্পেকট্রামের অবিক্রিত সার্কেলগুলির জন্য ফের নিলামের ব্যবস্থা করবে সরকার। এই আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগেই নিলামের আয়োজন করা হবে।
দিনকয়েক আগেই শেষ হওয়া টুজি স্পেকট্রাম নিলামে পর্বে সেভাবে সাড়া মেলেনি। দিল্লি, মুম্বই সার্কেল কিনতে আগ্রহ দেখায়নি কোনও সংস্থাই। ফলে দিল্লি, মুম্বই সহ মোট চারটি সার্কেল অবিক্রিতই থেকে যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের মন্তব্য, প্রথম পর্বের নিলামে যা ঘটেছে তা কাটিয়ে এবার সামনে এগোতে চায় কেন্দ্র।
First Published: Friday, November 16, 2012, 18:33