Last Updated: November 3, 2012 16:30

হলদিয়া ছেড়ে এবিজির চলে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। শ্রমিকদের বকেয়া মিটিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই টাকা মেটানো হয়েছে। এর আগে যে ২৭৫ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছিল তাঁদেরও পাওনা টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মিটিয়ে দেয় এবিজি কর্তৃপক্ষ।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত বুধবার এবিজি-র তরফ থেকে হলদিয়া ছাড়তে চাওয়ার কথা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারা যে আর হলদিয়া বন্দরে কাজ করতে চায় না একথা হাইকোর্টেও জানিয়েছে এবিজি। হলদিয়ার ২ নম্বর এবং আট নম্বর বার্থে মাল খালাসের দায়িত্বে থাকা এবিজি সংস্থা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে, তার জন্য গত ১৯ অক্টোবর রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এরপরও সংস্থার তিন কর্তাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। এমনকি এক কর্তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানকেও অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এদের পরে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি এবিজির।
এদিকে, এবিজি রাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের কাজে ফেরানোর দাবিতে অনড় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। আজ হলদিয়ায় একটি সমাবেশে তিনি বলেন, কোন সংস্থা কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে তাঁর মতো জনপ্রতিনিধির কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কর্মী ছাঁটাই হলে তিনি যে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। এদিন শুভেন্দু বলেন, "গ্লোবাল টেন্ডার করে এই সংস্থা এসেছে, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।" তিনি দাবি জানান, "ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের নিয়ে কাল থেকেই মোট ৬৩০ জন কর্মী কাজে যোগ দিক।"
First Published: Saturday, November 3, 2012, 16:35