Adhir Ranjan Choudhury VS Somen

সোমেনের অপমান সহ্য করবে না কর্মীরা, অধীরের সামনেই ধুন্দুমার বৈঠকে

ফের কংগ্রেসের বৈঠকে কর্মীদের মধ্যে বেধে গেল মারপিট। সোমেন মিত্রের নাম করে কটূক্তি করায় অধীর চৌধুরীর সামনেই বক্তার ওপর চড়াও হন কর্মীরা। কলকাতা জেলা কংগ্রেসের কর্মী বৈঠকে ঘটে গেল ধুন্দুমার কাণ্ড। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোনওক্রমে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন অধীর চৌধুরীই। তবে এর রেশ যে বহুদূর পর্যন্ত গড়াবে সেই ছবিটাও ছিল স্পষ্ট।

লোকসভা ভোটের পরই সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। তারপর আলাদা আলাদা ভাবে জেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন তিনি।শনিবার শিয়ালদহের নেতাজি ইন্সটিটিউটে ডাকা হয়েছিল কলকাতা জেলার বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন অধীর চৌধুরী, মানস ভুইঁঞাসহ আরও অন্যান্য নেতারা। বৈঠকের সুর প্রথম থেকেই ছিল রীতিমত চড়া। মধ্য কলকাতার এক কংগ্রেস নেতা তাঁর বক্তব্যে সোমেন মিত্রের বিরুদ্ধে কটূক্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন সোমেন অনুগামীরা। শুরু হয়ে যায় মারপিট। প্রায় পনেরো মিনিট ধরে চলতে থাকে গণ্ডগোল। একদল কংগ্রেস কর্মীদের আক্রমণের থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। কোনওরকমে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন অধীর চৌধুরী। কিছুক্ষণ বাদে অবশ্য বৈঠক ছেড়ে চলে যান সোমেন মিত্রের ঘনিষ্ঠরা।

ঠিক কয়েকদিন আগে প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন কণক দেবনাথ। বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, শঙ্কর সিংয়ের মতন নেতারা। প্রশ্ন উঠছে কেন বারবার অধীর চৌধুরী বৈঠক ডাকলেই শুরু হচ্ছে গণ্ডগোল? কংগ্রেস মহলে খবর নীচুতলার কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে অধীর চৌধুরী দল চালাতে চাইছেন তাতে অভ্যস্ত নয় এখানকার নেতারা। ফলে ক্রমশই তাঁর পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন প্রদেশের অনেক নেতাই।

এই অবস্থায় কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড় করানোটাই কিন্তু অধীর চৌধুরীর কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কংগ্রেসের এই ভয়ঙ্কর গোষ্ঠী কোন্দল না মেটাতে পারলে সাফল্য আসবে কীভাবে তা বলা কঠিন।

First Published: Saturday, June 21, 2014, 21:08


comments powered by Disqus