Last Updated: April 7, 2014 20:31

ফের শহরে রিজওয়ানুর হত্যাকাণ্ডের ছায়া। গত কাল রাত আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ একুশ বছরের সুমন দাসের মৃত্যুর খবর পৌছয় তাঁর সল্ট লেক সুকান্ত নগরের বাড়িতে। খবর দেন তাঁরই বান্ধবী তনুশ্রী দাস। পরিকল্পিত ভাবে সুমনকে হত্যার জন্য তাঁর বাড়ির লোকজন অভিযোগ এনেছেন তনুশ্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে।
সুমন দাস। একুশ বছরের এই যুবকের বাড়ি সল্টলেকের সুকান্ত নগরে। পেশায় আইটি সংস্থার গ্রুপ ডি কর্মী। গত পুজো থেকে বাঘাযতীনের তনুশ্রী দাসের সঙ্গে প্রণয়সূত্রে আবদ্ধ। সামনেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তাও এগিয়েছিল অনেকটাই। কিন্তু রবিবার রাত আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ সুমনের বাড়িতে পৌছয় তাঁর মৃত্যুসংবাদ। ফোনে খবরটা দেন তাঁরই বান্ধবী তনুশ্রী।
রবিবার বাঘাযতীন এবং নিউ গড়িয়ার মাঝে আপ লাইনের ধারে সুমনের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর মাথার পিছনের দিকে আঘাত ছিল।
পুলিসসূত্রে খবর, জেরার মুখে তনুশ্রী জানিয়েছে, রেল লাইনের পাশে হাঁটতে হাঁটতে সুমন হঠাত্ লাইনে উঠে গিয়েছিলেন। আচমকাই শিয়ালদহগামী একটি ট্রেন ধাক্কা মারে সুমনকে। কিন্তু তনুশ্রীর এই জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি সুমনের পরিবারকে। তাঁদের অভিযোগ, তনুশ্রীর পরিবারের কয়েক জন, বিশেষত তাঁর দুই দাদা কৃশানু দাস, পাপ্পু দাস এবং পিসেমশাই দুলাল শীল বরাবরই সুমন-তনুশ্রীর সম্পর্কের বিরোধিতা করে এসেছেন। দুলাল শীল নাকি সুমনকে কয়েকবার হুমকিও দিয়েছেন।
তনুশ্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও দুলাল শীলের যে এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল, সে কথা স্বীকার করেছেন তাঁর ছেলেই।
মামলার তদন্ত শুরু করেছে যাদবপুর জিআরপি। তনুশ্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ফের কি শহরে রিজওয়ানুর কাণ্ডের ছায়া দেখা যাচ্ছে সুমন দাসের মৃত্যুতে?
First Published: Monday, April 7, 2014, 20:31