Last Updated: December 13, 2011 10:36

আন্না হাজারে আপত্তি জানিয়েছিলেন আগেই। এবার প্রস্তাবিত লোকপাল বিলের খসড়া নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা গেল রাজনৈতিক মহলে। আর তারই জেরে শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল লোকপাল বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক। তিন ঘন্টার বৈঠকেও ঐকমত্য হলনা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
মনমোহন সিং আগে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদকে লোকপালের আওতায় আনতে তাঁর আপত্তি নেই। কিন্তু এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে সরকার পক্ষ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন সিবিআই'কে লোকপালের আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়েও বিরোধী বিজেপি ও বাম নেতৃত্বের সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে পারেনি শাসক শিবির।
গ্রুপ 'সি' এবং 'ডি' স্তরের আমলাদের লোকপালের আওতায় আনার বিষয়ে টিম আন্নার দাবি নিয়ে অবশ্য কিছুটা মতানৈক্য দেখা দেয় বিরোধীদের মধ্যে। বিজেপি'র লোকসভার নেতা সুষমা স্বরাজ নীচু তলার আমলাতন্ত্রকে লোকপালের আওতায় আনার পক্ষে সওয়াল করলেও এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেন সিপিআই-এর গুরুদাস দাশগুপ্ত। পাঁশকুড়ার সাংসদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, বিপুল সংখ্যক গ্রুপ 'সি' এবং 'ডি' স্তরের সরকারি কর্মচারীদের লোকপালের আওতায় আনার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা প্রণয়নের প্রয়োজন।
তবে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি জানান নীচু তলার আমলাতন্ত্রকে লোকপালের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তাঁর দলের কোনও আপত্তি নেই। বৈঠকে বামেদের তরফে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেওয়া হয়, লোকপাল স্বশাসিত হলেও, তাকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।
সংসদের চলতি অধিবেশনেই লোকপাল বিল পেশ করতে চায় সরকার। কিন্তু একাধিক ইস্যুতে জটিলতা থাকায়, বিরোধী দলগুলি সরকারকে পরামর্শ দেয়, এই ইস্যুতে তাড়াহুড়ো না করতে পরামর্শ দেন গুরুদাস দাশগুপ্ত। একই কথা বলেন বৈঠকে হাজির লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানও।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান আপাতত এই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার সরকারের সামনে দুটো পথ। হয় ফের সর্বদল বৈঠক ডাকা নয়তো নতুন করে বিলের খসড়া তৈরি করা। যদিও আন্না হাজারে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাশ না হলে ফের অনশন শুরু করবেন তিনি।
First Published: Wednesday, December 14, 2011, 23:54