Last Updated: December 11, 2011 10:22

খসড়া লোকপাল বিলের প্রতিবাদে আজ যন্তরমন্তরে একদিনের প্রতীকী অনশনে বসেছেন আন্না হাজারে। সকাল ন`টা নাগাদ রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন আন্না। তারপর চলে যান যন্তরমন্তরে। সেখানেই শুরু হয়েছে তাঁর অনশন।
শুক্রবার সংসদে লোকপাল বিল নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট পেশ হয়। কিন্তু আন্না শিবিরের দাবি মেনে লোকপালের আওতায় রাখা হয়নি সিবিআই এবং প্রধানমন্ত্রীর পদকে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আন্না কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেছেন গোটা দেশবাসীকে বোকা বানাতে চাইছে সরকার। এই দুর্বল লোকপাল বিল এলে দেশের দুর্নীতি বাড়বে বই কমবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলিকে পাশে পেতে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি অধিবেশনে কঠোর লোকপাল বিল পাশ না হলে ২৭ ডিসেম্বর থেকেই লাগাতার অনশনে বসার হুমকিও দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই সমাজসেবী।
কঠোর লোকপাল বিল পেশের দাবিতে যন্তরমন্তরের সামনে প্রতীকি অনশনে বসার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আন্না হাজারে। চলতি অধিবেশনে কঠোর লোকপাল বিল পাশ না হলে সাতাশে ডিসেম্বর থেকেই লাগাতার অনশনে বসার হুমকিও দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের এই সমাজসেবী। খসড়া রিপোর্টে অখুশি আন্না কেন্দ্রের উদ্বেগ বাড়িয়েছেন আরও একটি কারণে। কঠোর লোকপাল বিলের দাবিতে এই লড়াইকে ফের বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। পাঁচটি রাজ্যে গিয়ে কংগ্রেস বিরোধী প্রচার চালানোর কথা বলেছেন। এতেই উদ্বিগ্ন কংগ্রেস শিবির। সম্প্রতি হিসার লোকসভা উপনির্বাচনের কংগ্রেস বিরোধী আন্না হাজারের প্রচারে দলীয় ভোটব্যাঙ্কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফলে আন্না বাহিনীর গুরুত্ব কমাতে আপাতত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যেই বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তার আগে মঙ্গলবার এই ইস্যুতে শরিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে কংগ্রেস।
First Published: Sunday, December 11, 2011, 10:41