Last Updated: June 27, 2012 17:29

কলেজে ঢুকে অধ্যপিকা নিগ্রহ, দলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতার উপর আক্রমণের পর এবার সরকারি বিধি ভেঙে শংসাপত্র বিলির অভিযোগ! আর তারই জেরে ফের খবরের শিরোনামে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
বিধায়ক না হওয়া স্বত্ত্বেও স্থানীয় বাসিন্দাদের শংসাপত্র বিলির অভিযোগ উঠেছে ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন আরাবুল ইসলাম। অথচ তার পরেও নিজেকে ওই অঞ্চলের বিধায়ক পরিচয় দিয়ে, স্থানীয় বাসিন্দাদের তিনি শংসাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর এই কাজে ব্যবহার করছিলেন ২০০৬-১১ সালে বিধায়ক থাকার সময় পাওয়া সরকারি প্যাড ও সিলমোহর। গত ১৫ জুন ফুলবাড়ি এলাকার এক বাসিন্দাকে একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। বিধায়কের নামাঙ্কিত প্যাডে করা ওই শংসাপত্রে সই রয়েছে আরাবুলেরই। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা তৃণমূল নেতার দাবি, গোটা ঘটনাই একটা চক্রান্ত। সই জাল করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। গোটা বিষয়ে পুলিসে অভিযোগ করবেন বলেও জানিয়েছেন আরাবুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মাসেই ভাঙড় কলেজের অধ্যাপিকা দেবযানী দে`কে নিগ্রহের দায়ে মামলা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এর কয়েকদিন পর আরবুলের ভাই সিরাজুল ওরফে খুদের বিরুদ্ধে একটি জমি বেআইনিভাবে দখল করে পাঁচিল দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কয়েক বছর আগে বৈদিক ভিলেজ কাণ্ডের সময়ও খুদের নাম উঠে এসেছিল স্থানীয় মানুষের অভিযোগের নিশানায়। পাঁচিল-কাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ পর মে মাসের ২০ তারিখে ভাঙড় থানার সামনেই বিশ্বনাথ পোদ্দার এবং মীর তাহের আলি নামে তৃণমূল কংগ্রেসেরই বিরোধী গোষ্ঠীর দুই নেতাকে মারধর করার দায়ে অভিযুক্ত হন আরাবুল ইসলাম।
First Published: Wednesday, June 27, 2012, 17:29