Last Updated: September 29, 2012 21:56

মুশকিল আসান ট্রাফিক ডাক্তার। খবর পেলেই দুচাকার যানে মেটারনিটি হাসপাতাল নিয়ে হাজির ট্রাফিক কর্তা মানা জোক্কোসাং। যানজটে ভরা ব্যাঙ্ককের রাস্তায় প্রসূতি মায়েদের ভরসা ট্রাফিক কর্তা মানা জোক্কোসাং। রাস্তায় গাড়ি আটকে গেলেও নো পরোয়া। হাজির ট্রাফিক ডাক্তার। দক্ষ চিকিত্সকের মতোই সন্তান প্রসব করিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন সদ্যজাতকে।
ব্যাঙ্ককের যানজটে ভরা প্রসুতি মায়েদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন মানার মতো অন্যান্য ট্রাফিক পুলিসরাও। মানা জো্ক্কোসাং তাদেরই একজন। ব্যস্ত শহর। রাস্তা জুড়ে সারি সারি গাড়ির মিছিল। ব্যাঙ্ককের রাস্তায় এটাই চেনা ছবি। যানজটে ছাড় পায়না প্রসুতির অ্যাম্বুলেন্সও। সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছতে না পারায় অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হত প্রসূতিদের। সমস্যা সমাধানে হাল ধরলেন ট্রাফিক পুলিসরাই। সন্তান প্রসবের কায়দাকানুন শেখানোর ট্রেনিং নিলেন ট্রাফিক পুলিসরাই। পনেরো বছর আগে শেখা সেই ডাক্তারিতে এখন রীতিমতো দক্ষ ৪৭ বছরের ট্রাফিক পুলিস অফিসার মানা জোক্কোসাং। ইতিমধ্যেই নিজের হাতে একশ সাতটি সন্তানের প্রসব করিয়েছেন এই ট্রাফিক কর্তা। যার অধিকাংশই ঘটেছে ব্যঙ্ককের ব্যাস্ত রাস্তায়।
প্রসব সমস্যার কথা কানে এলেই দুচাকার বাইকে করে সটান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জোক্কোসাং। দুচাকার যানেই মজুত থাকে চিকিত্সার সরঞ্জাম। নিরাপদে সন্তান প্রসব করিয়ে মায়ের হাতে তুলে দেন তার সন্তান। প্রথম দিনটার কথা ভাবলে এখনও রোমাঞ্চিত হন সাতচল্লিশের এই পুলিস ডাক্তার।
ট্রাফিক কর্তার এ হেন ডাক্তারিতে কৃতজ্ঞ মায়েরাও। ব্যাঙ্ককের ব্যস্ত রাস্তায় এখন প্রসুতি মায়েরা অনেক নিশ্চিন্ত। বিপদে পড়লেই তাদের জন্য যে আছেন মুশকিল আসান পুলিস ডাক্তার জোক্কোসাং।
First Published: Saturday, September 29, 2012, 21:56