Last Updated: December 29, 2013 21:18

-----------------------------------------------
বিনএনপির গণতন্ত্রের অভিযাত্রা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তাল হল বাংলাদেশ। আজ রাজনৈতিক সংঘর্ষে কমপক্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তার কড়াকড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া হয়নি বিরোধী দলনেত্রী খালেদা জিয়ার। তাঁকে তাঁর বাসভবনেই আটকে দেওয়া হয় । গ্রেফতরা করা হয়েছে বিএনপির সহ সভাপতি হাফিজুদ্দিন আহমেদকে। কাল ফের গণতন্ত্রের অভিযাত্রার ডাক দিয়েছে বিএনপি।
পাঁচই জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু ভোট বাতিলের দাবিতে অনড় বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচন বাতিল ও তদারকি সরকার গঠনের দাবিতে রবিবার আন্দোলনের ডাক দেয় বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি সহ ১৮ দলের জোট। বিএনপির ঢাকা চলো কর্মসূচিতে অনুমোদন দেয়নি সরকার। রবিবার বিকেলে কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে।
গুলশনে বিরোধী নেত্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিস। প্রস্তুত রাখা হয় জল কামান। বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে রবিরার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ঢাকা। ব্যাপক পুলিসি নিরাপত্তার কারণে রবিবার পথে নামতে পারেননি বিএনপি কর্মী সমর্থকরা। দেশের অন্য অংশ থেকে যাতে ঢাকায় বিএনপি কর্মী সমর্থকরা পৌছতে না পারেন তার জন্য আগে থেকেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাস ও গাড়ির সংখ্যা।
রবিবার বেলার দিকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় সংঘর্ষ। মালিবাগে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়। সারা দিন দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট চত্বর। সংঘর্ষ থামাতে জল কামান ছোড়ে পুলিস। সোমবার ফের গণতন্ত্রের অভিযাত্রার ডাক দিয়েছে বিএনপি সহ আঠারো দলের জোট। বিএনপির তরফে জানানো হয়েছে নির্বাচন পর্যন্ত পথ,রেল ও নৌপথে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সন্ধেয় বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা করার পরেই ঢাকা প্রেস ক্লাব থেকে বিএনপির সহসভাপতি হাফিজুদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিস।
First Published: Sunday, December 29, 2013, 21:23