তারা খসার রাতে ছিটকে গেলেন মেসিরা, রুনিরাও

তারা খসার রাতে ছিটকে গেলেন মেসিরা, রুনিরাও

তারা খসার রাতে ছিটকে গেলেন মেসিরা, রুনিরাও------------------------------------------
আতলেতিকো মাদ্রিদ (১ ) বার্সেলোনা ( ০) (দুই পর্বের সাক্ষাত্‍ মিলিয়ে ২-১ গোল শেষ চারে উঠল আতলেতিকো)
বায়ার্ন মিউনিখ (৩) ম্যান ইউ (১) (দুই পর্বের সাক্ষাত্‍ মিবিয়ে ৪-২ গোলে শেষ চারে উঠল বার্য়ান মিউনিখ)
----------------------------------------------

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে যে চারটি দল উঠল--
রিয়াল মাদ্রিদ ( স্পেন)। চেলসি ( ইংল্যান্ড)। বার্য়ান মিউনিখ (জার্মানি)। আতলেতিকো মাদ্রিদ (স্পেন)
---------------------------------------------------------
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্দ্রপতন। কোয়ার্টার ফাইনালে বাসর্লোনাকে ছিটকে দিল আতলেতিকো মাদ্রিদ। মেসিদের ১-০ গোলে হারিয়ে ৪০ বছর পর ইউরোপের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে উঠল স্পেনের এই ক্লাব। শেষ আটের প্রথম সাক্ষাত ঘরের মাঠে ১-১ গোলে আটকে গিয়েছিল বার্সোলোনা।

হোম ম্যাচে গোল হজম করায় চাপে ছিলেন মেসিরা। কিন্তু খাতায় কলমে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্লাব এভাবে ছিটকে যাবে সেটা আন্দাজ করা যায়নি। মেসিকে কার্যত বোতলবন্দি করে রেখে দেন আতালাতিকোর ডিফেন্ডাররা।

এদিন ম্যাচের ৫ মিনিটেই গোল হজম করার পর বার্সার বিখ্যাত মাঝমাঠ, আক্রমণভাগ খোঁচা খেয়ে আক্রমণে নামে। শেষ চারে উঠতে হল আর কোনও গোল না খেয়ে অন্ত দুটো গোল করতে হত মেসিদের। কিন্তু কোথায় কী! নেইমার, মেসিদের ছিটকে দিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেল আতলেতিকো মাদ্রিদ।

ক বছর ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একটা করে একটু পিছনে থাকা টিম চমকে দেয়৷ গতবার চমকে দিয়েছিল জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড৷ তার আগের বার শালকে , অলিম্পিক লিয়ঁ৷ এ বার সেখানে নাম লেখালো আতলেতিকো৷

মেসির আয়কর কেলেঙ্কারি৷ নেইমারের ট্রান্সফার ফি নিয়ে আদালতের ভর্তসনা৷ যুব ফুটবলার কেলেঙ্কারির জন্য ফিফার বিশাল শাস্তি৷ তিতিতাকা ঘিরে হাজারো প্রশ্ন। এবার অন্যতম খারাপ মরসুম। বার্সেলোনা এখন অন্ধকারে। মেসিরা এখন মহামসমস্যায়। তবে খারাপ খবরের মাঝেও একটু ভাল খবর আছে। সেটা অবশ্য আর্জেন্টিনা,ব্রাজিলের ফুটবল সমর্থকদের জন্য। কোয়ার্টার ফাইনালেই বিদায় নেওয়ায় মেসি, নেইমারদের আর অতিরিক্ত ফুটবল খেলার ঝুঁকি নিতে হবে না। সেক্ষেত্রে অনেক চনমনে অবস্থায় ক দিন পরেই ব্রাজিল বিশ্বকাপে নামতে পারবেন মেসি, নেইমাররা। বার্সার শাপে তাই বর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের।

শেষ চারে বায়ার্ন মিউনিখ- দুঃস্বপ্নের মরসুমে ভরাডুবির বৃত্ত সম্পূর্ণ ম্যান ইউ। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্য়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বিদায় নিল ডেভিড মোয়েসের দল। মিউনিখে বার্য়ান মিউনিখ ৩-১ গোলে হারাল রুনিদের। ইংল্যান্ডে প্রথম সাক্ষাত্‍ ফলাফল ছিল ১-১। এদিনের স্কোরবোর্ড যতই একতরফা দেখাক না কেন, ম্যাচের ৫৯ মিনিট পর্যন্ত লড়াই ছিল তুল্যমূল্য। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই চার গোল হয়। এভেরার গোলে এগিয়ে যায় ম্যান ইউ। এই ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেই শেষ চারে চলে যেতেন রুনিরা। কিন্তু গোল খাওয়ার দু মিনিটের মধ্যেই মারিও মানডিচ গোল শোধ করে দেন। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে ৬৯ মিনিটে পেপ গুয়ার্দিওয়ালার দলেক এগিয়ে দেন টমাস মুলার। ম্যান ইউয়ের কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতেন আরিয়েন রবেন।

First Published: Thursday, April 10, 2014, 13:24


comments powered by Disqus