bhangar TMC leader killed fup

ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, তবে এখনও অধরা জাহাঙ্গির খান

ভাঙড় এক তৃণমূল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজ্জাক সর্দার খুনে তিন তৃণমূল নেতা সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে টেলিফোনে নির্দেশ দেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। রাতেই ঘটনাস্থলে যান শোভন চ্যাটার্জি। তারপরেই পুলিস গ্রেফতার করে তৃণমূলের দুর্গাপুর অঞ্চল সভাপতি সফেদ আলি গাইন, পঞ্চায়েত সদস্য সমীর রুইদাস ও কর্ণ নস্করকে।

তবে খুনে মূল অভিযুক্ত ভাঙড় এক ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরী এখনও অধরা। গতকাল সন্ধ্যায় সিংহেশ্বর বাজারের কাছে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতা রাজ্জাক সর্দার। গোটা এলাকা অন্ধকার করে ব্যাপক বোমাবাজির পর রাজ্জাককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। নলমুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিতসকেরা।

গতকাল রাতেই ভাঙড় এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা ভাঙড় এক পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরী সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন রাজ্জাকের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বন্দুকের ভাঙা অংশ ও তিনটি বোমা। বুধবার সকাল থেকে ভাঙড় থানা এলাকায় বনধ চলছে। এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। তবে পরীক্ষার্থীদের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে পরিবহণে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে জাহাঙ্গিরের সঙ্গে রাজ্জাকের ব্যাপক গোলমাল হয়। বিডিও কনকলতা জাটুয়া পালের সামনেই চলে হাতাহাতি। ভাঙচুর হয় বিডিও অফিসও।

ঘটনাচক্রে বিডিও আবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি চৌধুরী মোহন জাটুয়ার মেয়ে। ওই ঘটনার পরেই জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে রাজ্জাক খুনের পরিকল্পনা হয় বলে নিহত তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা অভিযোগ করেছেন। নিহত রাজ্জাক ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তৃণমূলের অন্দরে কাইজার আবার আরাবুল ইসলাম ও জাহাঙ্গির খান চৌধুরীর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবেই পরিচিত।


First Published: Wednesday, February 26, 2014, 19:25


comments powered by Disqus