Last Updated: June 19, 2013 22:04

পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনীপ্রশ্নে কাজিয়া অব্যাহত। বুধবার রাজ্য সরকারকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার ব্যাপারে গড়িমসি করছে রাজ্য সরকার।" তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দেওয়ার পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া যাচ্ছে না বলে রাজ্যের পক্ষ থেকে যে প্রচার করা হচ্ছে, তা অবাস্তব। ঠিক এই জায়গাতেই কংগ্রেস নেতৃত্বকে বিঁধেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাঁর বক্তব্য, বাহিনী প্রশ্নে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়াতে হবে কংগ্রেসকেই। নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন বিমানবাবু।
ঘোষণা অনুযায়ী, প্রথম দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা দোসরা জুলাই। কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়ার ব্যাপারে জটিলতা তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে জানিয়েছিলেন, রাজ্য চিঠি দিলে তাঁরা বাহিনী দিতে তৈরি।
ভোট শুরুর শেষলগ্নে কেন্দ্রকে রাজ্য সরকার চিঠি দিলেও বাহিনী পাওয়ার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। কংগ্রেসের দাবি, রাজ্য সরকারই এ নিয়ে ঢিলেমি করছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের এই ধরনের চড়া সুরের আক্রমণে হাইকমান্ডের সম্পূর্ণ সম্মতি রয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলে খবর।
প্রদীপ ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকেই বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রের উপরে চাপসৃষ্টির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর সমালোচনা থেকে ছাড় পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশনও।
সন্ত্রাসের কারণে যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের ফের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী ইশতাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রদীপ ভট্টাচার্যও নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও একবার এই দাবি রেখেছেন।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা ইস্যুতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে যে মামলা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারপরই রায় দেবে হাইকোর্ট।
First Published: Wednesday, June 19, 2013, 22:04