Last Updated: December 18, 2013 23:09
কেরোসিনকাণ্ডে সাসপেন্ড হলেন মহাকরণের রেজিস্ট্রার অব পাবলিকেশন বিস্ময় রায়। কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল বলে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর। তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ঘটনা নিয়ে মুখ খোলা, জ্যোতির্ময় নন্দীকে প্রভাব খাটিয়ে কাজের বরাত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। পূর্ত দফতরকে অন্ধকারে রেখেই তিনি এই কাজ করেছিলেন বলেও অভিযোগ। কেরোসিনকাণ্ডে নয়ামোড়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বুধবার সাসপেন্ড হলেন মহাকরণের রেজিস্ট্রার অব পাবলিকেশন বিস্ময় রায়। কিন্তু কেন সাসপেন্ড করা হল তাঁকে? স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ
সংবাদমাধ্যমের কাছে ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলে তিনি সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেছেন।
জ্যোতির্ময় নন্দীকে পেস্ট কন্ট্রোলের বরাত দেওয়ার সময় পূর্ত দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেননি তিনি।
কাজের বরাত দেওয়ার সময় নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।
তদন্ত চলাকালীন জ্যোতির্ময় নন্দী নির্দোষ বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করে প্রশাসনকে যথেষ্ট চাপে ফেলে দেন তিনি।
তবে শুধু কেরোসিনকাণ্ডই নয়, বিস্ময় রায়ের বিরুদ্ধে আরও বড় একটি অভিযোগ রয়েছে সরকারের। বছর দেড়েক আগে আইপিএস অফিসার নজরুল ইসলামের লেখা একটি বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। সেই সময় তথ্য জানার অধিকার আইনে জনৈক ব্যক্তি জানতে চান কেন বইটি নিষিদ্ধ করা হল। অভিযোগ, এই সময় বইটি সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে গিয়ে রেজিস্ট্রার অব পাবলিকেশন বিস্ময় রায় জানিয়ে দেন, বইটিতে বিতর্কিত এমন কিছু নেই যাতে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যায়।
পরবর্তীকালে এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে যান নজরুল ইসলাম। সেই মামলায় যথেষ্ট কোণঠাসা সরকার। অভিযোগ, কোনও বই সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়ার এক্তিয়ারই নাকি নেই রেজিস্ট্রার অব পাবলিকেশনের। সম্প্রতি কেরোসিনকাণ্ডে তদন্তের সময়ও স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক বিস্ময় রায়ের কাছে জানতে চান কেন তিনি ওই বই সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কর্তব্যে গাফিলতির কারণ দেখিয়ে বিস্ময় রায়কে সাসপেন্ডের পথেই হাঁটল রাজ্য সরকার।
First Published: Wednesday, December 18, 2013, 23:09