Last Updated: March 29, 2014 19:34

বিতর্ক এবং পিছু হঠা। এক সপ্তাহে পর পর দুবার। বিতর্ক-বিদ্রোহের জেরে নাজেহাল বিজেপি। দলের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠায় বাতিল করতে হল সাবির আলির একদিনের সদস্যপদ। একইসঙ্গে টুইটারে মুখ খোলার জন্য তিরস্কার করা হয়েছে মুখতার আব্বাস নকভিকে। দলে বিক্ষোভ বাড়ছে দেখে, প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে।সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সদস্যপদ ইস্যুতে নাকাল বিজেপি। গত সপ্তাহেই ম্যাঙ্গালোর পাবে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রমোদ মুতালিককে সদস্য করে বিপাকে পড়েছিল দল। বিতর্ক এড়াতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই সদস্যপদ বাতিল করা হয়। ফের একই ঘটনা জেডিইউ নেতা সাবির আলিকে সদস্যপদ নিয়ে। তাঁকে দলের সদস্য করা মাত্রই বিতর্কের ঝ়ড ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি আরও বাড়ান মুখতার আব্বাস নকভি। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইয়াসিন ভাটকলের সঙ্গে সাবির আলির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন নকভি। এধরনের বিতর্কিত কাউকে দলে নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বিজেপির সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পাল্টা আসরে নামেন স্বয়ং সাবির আলি। তিনি দাবি করেন, নাকভির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কিন্তু এতে ছবিটা পাল্টায়নি। বিতর্ক বাড়তেই থাকে দলের ভিতরে বাইরে। সাবিরকে দলে নেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আরএসএসও। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৈঠকে বসে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ব। দলের চাপে টুইট মুছে দেন নকভি । বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ।
ভোটের আগে বারবার দলীয় কোন্দল সামনে আসায় দলের ভাবমূর্তিতে যে কালি লাগছে তা বেশ বুঝতে পারছেন শীর্ষ নেতারা। তাই তিরস্কার করা হয়েছে নকভিকে। নেতাদের মুখ বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সভাপতি রাজনাথ সিং। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ যাই থাক না কেন, তা যাতে কোনোভাবেই বাইরে না যায় সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে নেতাদের। তাই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে।
First Published: Saturday, March 29, 2014, 19:34