Last Updated: December 26, 2013 14:09

ব্রেন ডেথ ঘোষণা বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য সরকার। এপ্রিল থেকে রাজ্যজুড়ে চালু হচ্ছে এই নিয়ম। তবে প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে জানুয়ারি থেকে এসএসকেএম এবং আরজিকর মেডিক্যাল কলে হাসপাতালে ব্রেন ডেথ ঘোষণা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চিকিত্সা মহলে। হার্ট অচল হয়ে যাওয়ার পর ধাপে ধাপে ফুসফুস বা অন্য অঙ্গের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কার্ডিওপালমোনারি ডেথ ঘোষণা করা হয়। সেই নিয়মই এখন চালু রাজ্য জুড়ে। কিন্তু সেই নিয়ম বদল করে এবার ব্রেন ডেথ বাধ্যতামূলক ঘোষণা চালু করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
ব্রেন ডেথ বাধ্যতামূলক করা যায় কিনা, এ নিয়ে মাস ছয়েক আগে ব্রেন ডেথ ক্লিয়ারেন্স কমিটি তৈরি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সাত সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান এসএসকেএমের স্নায়ু বিভাগের প্রধান রাজেন পাণ্ডে। সম্প্রতি সেই কমিটির সুপারিশেই ব্রেন ডেথ বাধ্যতামূলক হচ্ছে আগামী বছরের এপ্রিল মাস থেকে। প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে এই নিয়ম জানুয়ারি থেকে আপাতত এসএসকেএম হাসপাতাল এবং আরজিকর হাসপাতালে চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আইনগত খুঁটিনাটি সেরে ফেলা হয়েছে। দাবি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের।
কিন্তু কেন এই নিয়ম চালু করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর? কমিটির চেয়ারম্যান রাজেন পাণ্ডে জানাচ্ছেন, এর ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ আরও বাড়বে। কমানো যাবে চিকিত্সা খরচ। কারণ, ব্রেন ডেথ হলে কোনও রোগীকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রেখে কার্ডিও পালমোনারি ডেথের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
কীভাবে বাড়বে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ?
ব্রেন ডেথ অর্থাত্ মস্তিষ্কের মৃত্যু। মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়ার পর হার্ট ও রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা সচল থাকে। অন্য অঙ্গগুলির অনেকগুলিই সচল থাকে।
মস্তিষ্কের মৃত্যু হওয়া কোনও রোগীর পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাঁর অঙ্গগুলি অর্থাত্ হার্ট, কিডনি, ফুসফুস, প্যানক্রিয়াস প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে নেওয়া সম্ভব। এমনকি মৃত রোগীর ত্বকও প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব। ICU, ICCU, CCU, ITU, HDU ইত্যাদি বিভাগে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে ব্রেন ডেথ বাধ্যতামূলক তাই তাত্পর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন চিকিত্সকেরা। কিন্তু রোগীর পিছনে অহেতুক খরচ কমানোর যে তত্ত্বকে সামনে রেখে ব্রেন ডেথ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
First Published: Thursday, December 26, 2013, 14:09