Last Updated: March 9, 2013 22:12

শিক্ষামন্ত্রীর শিলান্যাস অনুষ্ঠান। তাই রীতিমতো নোটিস দিয়ে বন্ধ রাখা হল দুশোটি প্রাথমিক স্কুল। বাড়তি ছুটি পেয়ে পড়ুয়ারা রইল বাড়িতে। শিক্ষকরা হাজিরা দিলেন শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে। আর পঠনপাঠন উঠল শিকেয়। শিক্ষার সংস্কৃতিতে নতুন নিদর্শন পেশ করল বারাসত।
বারাসতের রবীন্দ্রভবনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকার কথা স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীর। তাই দর্শকাসন ভরাতে বার্তা গেল প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছে। জনৈক হাফিজুর স্যারের মোবাইল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটল এসএমএস। দয়া করে সমস্ত শিক্ষককে আগামিকাল বারাসতের রবীন্দ্রভবনে ডিপিএসসি ভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে দিন। এসএমএসে জোড়া ছিল আরেকটি বার্তা। উপস্থিতির হাজিরা নেওয়া হবে অনুষ্ঠানস্থলেই। এই বার্তাকে ভিত্তি করেই শুক্রবার স্কুলে স্কুলে পড়ল নোটিস। শনিবার স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষকরা ছুটলেন বারাসতে।
স্কুল বন্ধ করেই এসেছি। আমাদের অ্যাটেন্ডেন্স এখানে নেওয়া হয়েছে। আমরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে এটা করেছি। শনিবার শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজিরা ছিল প্রায় একশো শতাংশ। আর দুশোটি স্কুলে ঝুলেছে তালা। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন তিনি জানতেন না। শিক্ষামন্ত্রী জানতেন না। কিন্তু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন জানতেন। আমন্ত্রণের কথা স্বীকার করলেও তাঁর দাবি, কাউকে জোর করা হয়নি। হাজিরার টোপ ঝুলিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ কি জোর করা নয়? উত্সবের অছিলায় যখন তখন ছুটি এরাজ্যে আর নতুন নয়। প্রশ্ন উঠছে, আনুগত্যের এই পথেই কি হাঁটতে হবে মানুষ তৈরির কারিগরদের?
First Published: Saturday, March 9, 2013, 22:12