Last Updated: December 10, 2012 21:43

দীর্ঘ অপেক্ষার পরও দলের তরফে তাঁর নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে টুঁ শব্দ করা হয়নি। প্রতিবাদে রবিবার প্রকাশ্যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
তণমূল সূত্রে খবর, বর্ষীয়ান নেতার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। দাবি ওঠে মুখ্য সচেতকের পদ কেড়ে নেওয়ার। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে সাসপেন্ড করার দাবিও ওঠে। এতদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে বিষয়ে খুব গুরুত্ব দেননি, সোমবার দিনভর সেই শোভন-ইস্যুতেই ব্যস্ত থাকলেন তাঁরা। বিধানসভায় দফায় দফায় বৈঠক করলেন তৃণমূল নেতারা। কখনও মুকুল রায়ের সঙ্গে সুব্রত মুখার্জি আবার কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় যোগ দিলেন সেই বৈঠকে। তবে তাত্পর্যপূর্ণভাবে কোনও বৈঠকেই ডাকা হয়নি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্ব এখন সম্মানজনক কোনও মিটমাটের পথ হাতড়ে বেড়াচ্ছে। শীর্ষ নেতৃত্বকে যেটা ভাবাচ্ছে তা হল, জন্মলগ্ন থেকে সঙ্গে থাকা বর্ষীয়ান এই নেতার বিরুদ্ধে কঠোর কোনও ব্যবস্থা নিলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে দলের নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল যেটা কোনওভাবেই চাইছে না।
তবে একটা বিষয় মোটামুটি নিশ্চিত। বিধানসভার অধিবেশনের যে তিনদিন বাকি, সেই তিনদিনের মধ্যে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরানো হবে না শোভনদেবকে। নীরবতা ভেঙে সোমবার দলের তরফে পার্থ চ্যাটার্জি মন্তব্য করেছেন, গোটা বিষয়ের দিকে নজর রাখছে দল। সোমবার বিধানসভায় ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে আরও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। এদিন শিক্ষা সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন বিরোধীরা বারবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ তোলেন। শিক্ষা বিলের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন। ঘটনার পর তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাও সবিস্তারে জানান শিক্ষামন্ত্রী। ভাষণ শেষ হতেই ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সুব্রত মুখার্জি-পার্থ চ্যাটার্জিদের। কেন বিধানসভায় ব্রাত্য বসু শোভনদেব প্রসঙ্গ তুললেন, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তাঁরা। কারণ এর ফলে বিধানসভার কার্যবিবরণীতে সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়ে গেল শোভনদেব-প্রসঙ্গ। যার জেরে শোভনদেব-ইস্যুতে আরও অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিতর্ক এড়াতে আপাতত এই বিষয়টিকে কোনওভাবে ধামাচাপা দিতে চাইছে দল।
First Published: Monday, December 10, 2012, 21:43