অরাবুলের `গুণ্ডারাজকে` ইন্ধন ব্রাত্য বসুর

অরাবুলের `গুণ্ডারাজকে` ইন্ধন ব্রাত্য বসুর

অরাবুলের `গুণ্ডারাজকে` ইন্ধন ব্রাত্য বসুর ক্লাস এইট পাশ করেই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হয়েছেন। নাম না করে আরাবুলকে নিয়ে সৌগত রায়ের এই কটাক্ষের বিরোধিতা করলেন ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, এম এ পাশ  মানেই উচ্চশিক্ষিত আর ডিগ্রি না থাকলেই অশিক্ষিত এমনটা মনে করেন না তিনি।  

এইট পাশ করে কী করে কলেজের পরিচালন সমিতিতে কেউ ঢুকে যায় তা নিয়ে কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এবার তৃণমূল সাংসদের সেই মন্তব্যকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন  শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার একটি কলেজের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কারোর নাম না করেই বলেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক ব্যক্তি থাকবে কী থাকবে না  সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলি সরব হয়েছে। কিন্তু এর পাল্টা যুক্তিও রয়েছে। যাঁরা থাকবেন তাঁদের যোগ্যতা কী হবে  তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রসঙ্গেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এম এ পাশ করলেই কেউ শিক্ষিত আর কোনও ডিগ্রি না থাকলেই কেউ অর্ধ শিক্ষিত,  তা তিনি মনে করেন না।
  
অর্থাত্‍ কলেজের পরিচালন সমিতির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যে যোগ্যতার কথা তুলে প্রশ্ন তুলেছিলেন সৌগত রায়, সেই প্রশ্নেরই একপ্রকার উত্তর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য সৌগত রায়ের পাল্টা বলেই মনে করছে শিক্ষাজগত। তবে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্নও। কিছুদিন আগে এই শিক্ষামন্ত্রীই আইন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে মতামত দেবেন সমাজের শিক্ষিত মানুষরা। সেই শিক্ষামন্ত্রীরই বুধবারের  মন্তব্য একেবারেই পরস্পর বিরোধী বলে মনে করছে শিক্ষাজগত। শুধু তাই নয়, এই সরকারই শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির চরম বিরোধিতা করেছিল। তাহলে সেই সরকারের আজ কেন এই ভিন্ন সুর। উঠছে সে প্রশ্নও।



First Published: Wednesday, October 17, 2012, 19:53


comments powered by Disqus