Last Updated: January 6, 2014 21:48

বাসমালিকদের দাবি, ভাড়া বাড়াতে হবে। সরকারের সাফ কথা, ভাড়া কিছুতেই বাড়ানো হবে না। দুপক্ষের টানাপোড়েনে সপ্তাহের প্রথম দিনেই বাস ধর্মঘটে নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটে অংশ নেওয়া বাসগুলির লাইসেন্স বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। বাস মালিকদের পাল্টা হুমকি, পারলে এমনটা করে দেখান মন্ত্রী। তাঁরাও আইনি লড়াইয়ের পথে যাবেন।
বাস ধর্মঘটে কী পরিস্থিতি ডানলপে? তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই পরিবহণমন্ত্রী হাজির হয়েছিলেন। যে বাসগুলি রাস্তায় নামেনি, পুলিস ডেকে সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করানোর বন্দোবস্ত করেন তিনি নিজেই। থানায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলি।
বাসভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বেশকিছুদিন ধরেই সরব বাস মালিক সংগঠনগুলি। বেশ কয়েকবার সরকারের সঙ্গে বৈঠকও হয়। কিন্তু কোনওবারই রফাসূত্র পাওয়া যায়নি।
নতুন বছর পড়তে না পড়তেই এবার তাই রণংদেহী মূর্তিতে বাস মালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, নিতান্তই নিজেদের জীবন-জীবিকা বাঁচানোর তাগিদে এই ধর্মঘটের ডাক।
ক্ষতি নয়, বাস মালিকদের লাভের হিসেব দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলছেন, বাস মালিকদের ডাকে এই ধর্মঘট গুণ্ডামির পরিচয়। এর শাস্তি তাহলে কী? তাও শুনিয়েছেন মদন মিত্র।
বাস মালিকরা আইনি লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মন্ত্রীই বা কম যান কিসে?
শুধু হুমকি না, বাস মালিকদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি পরিবহণমন্ত্রী।
বাস মালিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, পরিবহণমন্ত্রীর এইসমস্ত কথা লোক দেখানো। বহু জায়গায় প্রশাসন জোরজবরদস্তি ধর্মঘট বানচাল করার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
কিন্তু প্রশ্ন, দুপক্ষের এই টানাপোড়েনের শেষ কোথায়?
First Published: Monday, January 6, 2014, 21:48