Last Updated: April 14, 2012 14:10

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে শারীরিক নিগ্রহ এবং জোর করে মুচলেকা লেখানোর অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের ৪ নেতা-কর্মী। শনিবার বেলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ মুখোপাধ্যায়, অমিত সর্দার, নিশিকান্ত ঘড়াই এবং শেখ মুস্তাফাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার রাতে পূর্ব যাদবপুর থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অম্বিকেশবাবু। কিন্তু তারপরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। একদিকে নিগ্রহের ঘটনা, অন্যদিকে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই চাপেই পূর্ব যাদবপুর থানা তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করল বলে মনে করা হচ্ছে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সরকার বিরোধী কার্টুন আপলোড করা, এবং ইমেলে প্রচার করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে অম্বিকেশবাবুর ওপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচয় বলে তারা। হামলাকারীদের অভিযোগ, অম্বিকেশ মহাপাত্র সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত। অধ্যাপককে মারধর করার পাশাপাশি, পূর্ব যাবদপুর থানার পুলিসের হাতেও তাঁকে তুলে দেয় হামলাকারীরা।
শুক্রবার দুপুরে আলিপুর আদালতে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি পান তাঁরা।
অধ্যাপকের গ্রেফতার নিয়ে শুক্রবারই ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন ওঠে, পরিবর্তন-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিবেশ রয়েছে কি না, তা নিয়েও। বাম নেতৃত্বের পাশাপাশি তৃণমূলের শরিকদল কংগ্রেসের নেতাও মুখ্যমন্ত্রীর অপছন্দের কার্টুন প্রকাশ করে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের শাসক দলের রোষের শিকার হওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের কার্টুনটিকে কোনওভাবেই অশ্লিলতার দায়ে অভিযুক্ত করা যায় না। ধোপে টেকে না সাইবার ক্রাইমের অভিযোগও।
First Published: Saturday, April 14, 2012, 14:10