Last Updated: August 11, 2012 15:48

বিনপুরের বাসিন্দা শিলাদিত্য চৌধুরীকে শনিবারই মাওবাদী সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেলপাহাড়িতে জনসভায় গিয়েছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর আর্থিক দূরবস্থার কারণ জানাতে যান তিনি। সমস্যার কথা জানাতে গিয়েই বিপদে পড়েন তিনি। তাকে মাওবাদী চিহ্নিত করে ধরে নিয়ে যায় পুলিস। বেশকিছুক্ষণ জিক্ষাসাবাদ করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর পের আজ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ৫টি ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে মারধর, কাজে বাধা, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি জামিনঅযোগ্য ধারাও রয়েছে। তবে সেদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা।
শিলাদিত্যর বিরুদ্ধে ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৪৪৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা আনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৩টি ধারা জামিন অযোগ্য এবং পরের দুটি জামিন যোগ্য। কোন কোন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে?
কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর গায়ে হাত তোলা
কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর করা
সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দেওয়া
নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে বেআইনি প্রবেশ
এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ২৪ ঘণ্টার সাংবাদিকদের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে তা কিন্তু শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছবি বলছে সেদিন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরেই ছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। উপস্থিত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত তোলা বা মারধরের ঘটনা দূরে থাক, কোনও সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েনি কোনও ক্যামেরায়। অর্থাত্ শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত বুধবার তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় উচ্চপদস্থ পুলিসকর্মীরাই শিলাদিত্য চৌধুরীকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভিতর দিয়ে মঞ্চের পিছন দিকে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হয়ে পুলিস তাঁকে ছেড়েও দেয়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিসের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
First Published: Saturday, August 11, 2012, 15:53