Last Updated: June 21, 2014 12:45

আমানতের একটা বড় অংশ নগদে পাচার করে প্রভাবশালীদের লাভবান করেছেন সুদীপ্ত সেন। এমনই অভিযোগ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার করা এফআইআরে লেখা আছে সুদীপ্ত সেন এবং কিছু অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্ত রশিদে কারচুপি করে বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করেছেন। এই অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তরা সমাজের প্রভাবশালী এমনই ইঙ্গিত মিলেছে এফআইআর থেকে।
সারদা রিয়েলটির বিরুদ্ধে করা প্রথম এফআইআর এর ১২ নম্বর পাতায় সিবিআই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন সুদীপ্ত সেন, কুনাল ঘোষ সহ ছয় প্রধান অভিযুক্ত নগদ টাকার রশিদে জালিয়াতি করেছেনএবং বিপুল অর্থ নিজেদের এবং কিছু অজ্ঞাত পরিচয় মানুষের লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন। গোটা জালিয়াতি ঢাকা দিতে কোম্পানীর অডিটররা অডিট রিপোর্টে কারচুপি করেছেন।
কিন্তু শুধুমাত্র নগদে পাচার নয়, সিবিআইয়ের অভিযোগ সারদা গোষ্ঠীর অলাভজনক কোম্পানীতে টাকা সরিয়ে ব্যক্তিগত লাভ করেছেন অভিযুক্তরা। সেই লাভের ভাগ পেয়েছেন কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও।
কিন্তু কারা এই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি যাঁরা সারদার টাকায় লাভবান হয়েছেন ? যে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের কথা বারবার উঠে আসছে সিবিআইয়ের এফআইআর এ। সিবিআইএখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর করেছে।
প্রথম এফআইআর আলিপুর আদালতে সারদা রিয়েলটি, সুদীপ্ত সেন, কুনাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ দত্ত, মনোজ নাগেল ও অরবিন্দ চৌহানের বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয় এফআইআর রাজ্য পুলিসের বিধাননগর উত্তর থানায় করা একশো দু নম্বর এফআইআরের ভিত্তিতে করা হয়েছে। সেখানে সারদা গোষ্ঠীর আমানত সংগ্রহকারী চারটি কোম্পানী সহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা।
তৃতীয় এফআইআর সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেলসের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল আদালতে।
সিবিআইএর অভিযোগ, যে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা সারদার টাকায় লাভবান হয়েছেন তাঁরা সুদীপ্ত সেনের মতোই সমানভাবে এই ষড়যন্ত্রে সামিল। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এরা আমানতকারীদের অর্থ তছরুপ করেছেন তাঁদের উদ্দেশ্যই ছিল মানুষকে প্রতারণা করা।
First Published: Saturday, June 21, 2014, 12:45