Last Updated: April 23, 2013 20:06

অবস্থা বেগতিক বুঝে ১০ এপ্রিল ভোরে কলকাতা ছাড়েন সুদীপ্ত সেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও সারদা গোষ্ঠীর পদস্থ আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহান। পুলিসের চোখে ধুলো দিতে এই ক-দিনে তাঁরা উত্তর ভারতের এক শহর থেকে অন্য শহরে চষে বেরিয়েছেন। ধরা পড়ার ভয়ে কোথাও বেশিদিন থাকেননি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
সারদা গোষ্ঠীর ডিরেক্টর মনোজ নাগেলকে গ্রেফতারের পরই পুলিস জানতে পারে সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায় একসঙ্গে রয়েছেন। ১০ এপ্রিল ভোর চারটেয় কলকাতা ছাড়েন সুদীপ্ত সেন। স্করপিও গাড়িতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দ সিং চৌহান ও গাড়ির চালক। ১২ এপ্রিল রাঁচি পৌঁছে
চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তাঁরা। এ বার গাড়ি চালাতে শুরু করেন অরবিন্দ সিং চৌহান।
হরিদ্বার-দেরাদুনের মতো উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরে ছিলেন তাঁরা। সব জায়গাতেই অরবিন্দ সিং চৌহানের নামে ঘর ভাড়া করা হয়। হোটেলের বিল মেটানো হয় নগদ টাকায়। কোনও জায়গাতেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেননি সুদীপ্ত সেনরা। তিনজনের মোবাইল ফোনই ছিল বন্ধ। সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গে পৌঁছন তাঁরা। গ্রেফতারের সময় সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কুড়ি হাজার টাকা।
সম্ভাব্য যে সব জায়গায় সুদীপ্ত সেন যেতে পারেন সে সব জায়গায় তাঁর ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের ছবি পাঠায় পুলিস। তাঁদের সঙ্গে গাড়ি রয়েছে বলেও পুলিস জানতে পারে। সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে আটকের পর বিধাননগর পুলিসকে তাঁদের ছবি পাঠায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। ছবি দেখে বিধাননগর পুলিস নিশ্চিত হওয়ার পরই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
First Published: Wednesday, April 24, 2013, 10:26