Last Updated: January 21, 2014 00:09

-------------------------------------------------------------------------
না স্বপ্নটা সত্যি হল না বাঙালির চাঁদের পাহাড়ের দেশের। অনেক চেষ্টা করেও ২০১৪ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠা হল না উগান্ডার। বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বের ম্যাচে সুপার সিক্সে উঠতে না পারায় উগান্ডাকে বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না। স্কটল্যান্ড, কানাডা, নামিবিয়ার মত শক্তিধর দেশকে হারিয়ে উগান্ডা যে বিশ্বকাপ খেলবে এমন আশা অবশ্য কেউ করেনি। তবু বাংলার কোনও সংবাদমাধ্যমে উগান্ডার বিশ্বকাপ খেলা-না খেলা খবর হয় একটা কারণে। তা হল চাঁদের পাহাড়। উগান্ডার কেনিয়ান কোচ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার মার্টিন সুজি যা বললেন, তাতে খবর হতেই হল। সুদূর উগান্ডার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নে জড়িয়ে আছে বাঙালির স্বপ্নও!
বিশ্বকাপে উঠতে না পারার হতাশার পর উগান্ডার কোচ সুজি বললেন, "জানেন এবার অনেক আশা করেছিলাম, ভেবেছিলাম উগান্ডা ঠিক বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাঅর্জন করতে পারবে। আমরা এর জন্য প্রচুর পরিকল্পনাও করেছিলাম। যোগ্যতাঅর্জন পর্বের ম্যাচের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। আবাসিক শিবিরে জনহীন পাহাড়ের নিচে অনেক খেটেছি আমরা। সেসব পাহাড়ে হয়তো কোনওদিন কেউ পা রাখেনি। কে জানে ওসব পাহাড়ের ওপর উঠে খুঁজলে হয়ত হীরের খোঁজও মিলত।" এরপর সুজি বলেন," একদিন তো আমার দলের এক ক্রিকেটার বলল, রাতে ওসব পাহাড়ে চল হীরে খুঁজি। পরে ওই বলল আমাদের আসল হীরে হল বিশ্বকাপের টিকিটটা পাওয়া। সেটা এবার হল না, হতাশ লাগছে।"এবার মিল পেলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড়ের । দিয়েগো আলভারেসকে নিয়ে শঙ্কর তো ওই রকম পাহাড়গুলোর পাশেই হীরের খোঁজ করছিল। সেই পাহাড়গুলোর পাশে হীরের খোঁজ করছিল উগান্ডার ক্রিকেটার আর তাদের কেনিয়ান কোচ। ফারাক একটাই উগান্ডা ক্রিকেটের হীরের খোঁজ বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া।
১৯৯৮ সালে আইসিসি-র সদস্য দেশ হওয়ার পরে চাঁদের পাহাড়ের দেশে ক্রিকেট নিয়ে উত্সাহ বাড়ে। প্রতিবেশী দেশ কেনিয়ার সাহায্য নিয়ে উগান্ডায় ক্রিকেটের প্রসার ঘটে। বেশ কয়েকজন মাসাইকেও ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। কিন্তু পেশাদারিত্বের অভাবে উগান্ডা ক্রিকেট এখনও সাবালকত্ব লাভ করতে পারছে না। প্রাথমিক পর্যায়ে ভাল ফল করলেও গ্রুপ পর্যায়ে তিনটে ম্যাচ খেলে তিনটেতেই হেরেছে তারা।
First Published: Tuesday, January 21, 2014, 00:13