Last Updated: March 4, 2012 18:00

প্রায় ১৫ বছর ধরে নিউ আলিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন দুর্গাপুর সেতুর নিচে ছিল নন্দীগ্রাম বস্তি। পোর্টের জমি হলেও, এতদিন একটি রাজনৈতিক দলের মদতেই সেখানে বসবাস করছিলেন ঝুপড়িবাসীরা। অথচ গত বৃহস্পতিবার পে লোডার দিয়ে যখন ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের ঝুপড়ি, তখন নেতা কিংবা মন্ত্রী, সাহায্য চেয়েও দেখা মেলেনি কারোর। ফলে সব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে অসহায় পরিবারগুলির।
উচ্ছেদ হওয়ার দু`দিন পরেও অসহায় অবস্থা নিউ আলিপুর স্টেশন সংলগ্ন নন্দীগ্রাম বস্তির পরিবারগুলির। উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের অভিযোগ, পুলিসও তাঁদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দেয়নি।
ভিটে মাটি হারিয়ে এখন পুনর্বাসন ঘিরে অনিশ্চয়তায় উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলি। অভিযোগ, অন্তস্বত্বা মহিলাদেরও রেয়াত করেনি পুলিস।
পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ছে নন্দীগ্রাম বস্তি। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম। যিনি রাজ্যের পুর মন্ত্রীও। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার যখন পে-লোডারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঝুপড়ি সে সময় ঝুপড়ি বাসীদের ডাকেও সাড়া দেননি কাউন্সিলার।
২০০৬`এর জুন মাসে মেট্রো রেলের প্রকল্পের জন্য যখন গোবিন্দপুর রেল কলোনি উচ্ছেদ করা হচ্ছিল, তখন বস্তিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেত্রী। অথচ গত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম বস্তি উচ্ছেদের সময় কিন্তু দেখা মিলল না তাঁর মন্ত্রিসভার একজনেরও।
First Published: Sunday, March 4, 2012, 18:00