Last Updated: January 23, 2014 23:37

দিনভর টানাপোড়েনের পর অবশেষে উদ্ধার হল নিখোঁজ দুই শিম্পাঞ্জি। শুল্ক দফতরের কর্তাদের দাবি, বাগুইআটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করার সময়, ভিড় দেখে ভড়কে গিয়েছিল তারা। ভয়ে লুকিয়ে পড়ায় খোঁজ মিলছিল না তাদের। পরে ওই বাড়ি থেকেই বৃহস্পতিবার দুই শিম্পাঞ্জিকে উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে শুল্ক দফতর।
আফ্রিকা থেকে বাগুইআটি। এতটা লম্বা পথে কিছু হয়নি। কিন্তু গোল বাঁধে বাগুইআটিতে এসে। একটি বাড়ি থেকে উদ্ধারের সময় বেপাত্তা হয়ে যায় এই দুই শিম্পাঞ্জি। বুধবার ভোরে বাগুইআটির বাড়িতে হানা দিয়ে এরকম তিনটি শিম্পাঞ্জি, পাঁচটি মার্মোসেট ও বেশ কিছু বিদেশি পাখি উদ্ধার করা হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর রাত বারোটা নাগাদ উদ্ধার হওয়া প্রাণীদের চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, তিনটি শিম্পাঞ্জির জায়গায় মাত্র একটি শিম্পাঞ্জিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকি দুজন কোথায়? শুরু হয় খোঁজ। বন দফতর জানিয়ে দেয়, শিম্পাঞ্জি বন্যপ্রাণ আইনের আওতায় পড়ে না। বিষয়টি শুল্ক দফতরের আওতাধীন। কিন্তু শুল্ক দফতরে জিজ্ঞাসা করেও নিখোঁজ শিম্পাঞ্জি সম্পর্কে কোনও তথ্য মিলছিল না। ফলে অন্তর্ধান রহস্য আরও জমাচ বাঁধে।
২৪ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পর হঠাত্ই খবর মেলে দুই শিম্পাঞ্জির হদিস মিলেছে। শুল্ক দফতরের কর্তাদের দাবি, লোকজনের ভিড়ভাট্টা আর হইচইয়ের কারণে দুই শিম্পাঞ্জি ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তাই বাগুইআটির ওই বাড়িতেই লুকিয়ে পড়েছিল তারা। শিম্পাঞ্জি অন্তর্ধানের পিছনে শুল্ক দফতর এই যুক্তি দিলেও, পুরো ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ভোরে হানা দিয়ে বাগুইআটির বাড়ি থেকে শিম্পাঞ্জি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে পাঠাতে সময় লেগে যায় ১৮ ঘণ্টা। থেকে গেছে কিছু প্রশ্ন-
১. এত দেরি কেন হল, তার সদুত্তর মেলেনি
২. হাসপাতালে তিনটির জায়গায় একটি শিম্পাঞ্জি পাঠিয়ে দেওয়া হল
৩. অথচ কেউ তা খেয়াল করলেন না, এমনটা কী করে হল
৪. উদ্ধারের পরেই যদি দুজন নিখোঁজ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শুরুতেই তা জানা গেল না কেন
First Published: Thursday, January 23, 2014, 23:37