Last Updated: November 5, 2013 19:57

তিব্বতে দলাই লামার প্রভাব পুরোপুরি খর্ব করতে উঠেপড়ে লাগল চিন। বৌদ্ধ ধর্মগুরুর বক্তব্যের এক কুচিও যাতে দেশে ঢুকে পড়তে না পারে তার জন্য নেওয়া হচ্ছে কড়া ব্যবস্থা। ইন্টারনেট, রেডিও, টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ততপর হল বেইজিং। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সেল।
তিব্বতের দরজা তাঁর জন্য আগেই বন্ধ হয়েছিল। এবার বন্ধ হল মতাদর্শ প্রচার। নির্বাসিত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামার কোনও বক্তব্য যাতে তিব্বতের মানুষের কাছে না পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে তৎপর চিন সরকার।
১৯৫৯ সাল থেকেই ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন বৌদ্ধধর্মগুরু। তিব্বতে দলাই লামার কোনওরকম বক্তব্য প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু, চোরাগোপ্তা পথে ইন্টারনেট, টিভি ও রেডিওর মাধ্যমে দলাই লামার বক্তব্য পৌঁছে যায় তিব্বতিদের কাছে। এমনকি, বৌদ্ধধর্মগুরুর ছবি ও বানীও চোরাপথে পৌঁছয় তিব্বতিদের হাতে। এবার তা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে চিন সরকার।
ইন্টারনেটে নজরদারির জন্য বিশেষ সেল হচ্ছে। তিব্বতে কমিউনিস্ট পার্টি শীর্ষনেতা চে কোয়ানগুয়ো জানিয়েছেন, দলাই লামা ও তাঁর অনুগামীদের কোনওরকম বক্তব্য যাতে তিব্বতের মানুষের কাছে না পৌঁছয় তার সবরকম ব্যবস্থা করছে সরকার। চিন সরকারের পদক্ষেপে ক্ষুদ্ধ হিমাচলের ধরমশালায় নির্বাসনে থাকা তিব্বতিরা।
পূর্ণ স্বশাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে তিব্বতে। দলাই লামার বক্তব্য প্রচারে কড়া অবস্থানের পর পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেদিকে নজর রাখছে চিন সরকার।
First Published: Tuesday, November 5, 2013, 19:57