Last Updated: January 31, 2014 13:37

আজ চিনা নববর্ষের প্রথম দিন। নতুন বছরের প্রথম দিনে সেজে উঠেছে চিন ও জাপান। আলো আর আতসবাজিতে নববর্ষকে বরণ করে নিল এই দুই দেশ। চন্দ্র মাস অনুযায়ী বসন্তের প্রথম দিন চিনা নববর্ষ। চিনা ক্যালেন্ডারে গত বছরটা ছিল সিংহের দখলে। এবার মালিকানা বদলেছে। ঘোড়ার হাতেই এবারের দখল। তবে নিউ ইয়ার্স ইভটা এবার একটু অন্যরকম চিনের রাজধানী বেজিংয়ে। কারণ , এবারই প্রথম দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগী সরকার।
আতস বাজি কম পোড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাসিন্দাদের কাছে। তাতে আকাশ একটু কম আলো করেছে আতস বাজি। সম্প্রতি বেশ কিছু ইস্যুতে চিন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে তা প্রভাব ফেলেনি বর্ষবরণের উত্সবে। নববর্ষ উপলক্ষ্যে চিনা অধ্যুষিত জাপানের ইয়কোহামা দ্বীপ সেজে উঠেছিল গতকাল। নাচে গানে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন বাসিন্দারা। ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ থেকে শুরু হচ্ছে চিনা বছর। টানা ২ সপ্তাহ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন উত্সবের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হবে বর্ষবরণ।
লুনার ক্যালেন্ডারের শুক্লপক্ষের প্রথম দিন থেকে শুরু করে শেষদিন, অর্থাত্ পুর্নিমা পর্যন্ত চলবে উদযাপন। ৩ সপ্তাহ ব্যাপী উত্সব পালিত হবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও। চিনের বাইরে সবথেকে বড় চিনা বর্ষবরণ উত্সব পালিত হয় সিডনিতেই। ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে উত্সব চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। চিনে উদযাপন শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্যারেড, লায়ন ডান্স, প্রচুর কেনাকাটা, খাবারের প্রাচুর্য, প্রদর্শনী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে বর্ষবরণ।
চিনা নববর্ষকে বরণ করে নিল লন্ডনও। সে জন্যই সাজানো হল লন্ডন আই। লাল আর গোল্ডেনও সাজানো হয়েছে লন্ডন আই। কারণ,চিনা সংস্কৃতিতে লাল রঙকে লাকি কালার হিসেবেই দেখা হয়। জানাচ্ছেন, লন্ডনে বর্ষবরণ উত্সবের আয়োজকরা। এছাড়াও আয়োজন করা হয়েছিল লায়ন ডান্সের। বর্ষবরণ উত্সবে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। ফেং শুই মতে, এ বছরটা বিরোধ এবং দুর্যোগের। তবু কাঠ ব্যবসায়ীদের জন্য আশার আলো দেখিয়েছেন ফেং শুই বিশেষজ্ঞরা। এ বছর কাঠ ব্যবসায়ীদের বাড়তি লাভের সম্ভাবনা থাকছেই।
First Published: Friday, January 31, 2014, 13:37