Last Updated: September 13, 2013 17:00

অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ক্রাইস্ট চার্চ স্কুল। পুলিসি হেফাজতে অধ্যক্ষ। মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে প্রিটেস্ট। গতকালের ভাঙচুরের জেরে নষ্ট হয়েছে প্রয়োজনীয় নথি। সব মিলিয়ে রীতিমতো অনিশ্চয়তায় স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা। এরই মধ্যে স্কুলে ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ পাল্টা বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ. তবে শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকলে তা নতুন করে তৈরি করে দেওযা হবে।
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে ভাঙচুর শুরু হয় স্কুলে। দুঘণ্টা অবাধে ভাঙচুর চললেও আসেনি পুলিস। ভাঙচুরে অংশ নেয় বহিরাগতরাও। আতঙ্কে একটি ঘরে আশ্রয় নেন শিক্ষিকারা। স্কুলে সেইসময় চলছিল মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রিটেস্। তাণ্ডবের জেরে বন্ধ হয়ে যায় পরীক্ষা। শুক্রবার সকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের গেট।
প্রিটেস্ট কি ফের নেওয়া হবে? বাকি পেপার কবে শেষ হবে? রেজিস্ট্রেশন নম্বর নষ্ট হয়ে যায়নি তো ? এমনই নানা অনিশ্চয়তা আর উদ্বেগে ভুগছেন ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা।
এদিন স্কুল গেটে জড়ো হওয়া ছাত্রী এবং অভিভাবকদের বক্তব্য, ঐন্দ্রিলার মৃত্যু মর্মাহত হওয়ার মত ঘটনা। কিন্তু তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না স্কুলে ভাঙচুর।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে শনিবার বৈঠকে বসতে চলেছেন অভিভাবকরা। অবিলম্বে স্কুল খোলার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে অভিভাবকদের তরফে।রবিবার মোমবাতি মিছিল করে ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা যাবেন ঐন্দ্রিলার বাড়িতে।
First Published: Friday, September 13, 2013, 17:02