Last Updated: July 23, 2012 17:42

গুড়িয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেল সিআইডি। মাথায় ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করার জেরেই মৃত্যু হয় গুড়িয়ার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পাওয়ারর এমনটাই জানালেন এডিজি সিআইডি মুরলীধর। শরীরেও রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এই আঘাতের চিহ্ন থেকেই অনুমান, গুড়িয়াকে নিগ্রহ করা হয়েছিল। তবে গুড়িয়ার শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে নিশ্চয়তা মেলেনি। কারণ, দেহে বেশিমাত্রায় পচন ধরে যাওয়ায় শ্লীলতাহানি হয়েছিল কিনা, তা বোঝা যায়নি। সোমবার গুড়িয়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গুড়াপের হোমে অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষকে নিয়ে তল্লাসি চালায় সিআইডি। গোয়েন্দাদের সঙ্গে ছিলেন হোমের সেক্রেটারি উদয়চাঁদ কুমার, সুপার বুলবুল চৌধুরী, চিকিত্সক কাঞ্চন মণ্ডল।
হোমের সেক্রেটারি উদয়চাঁদ কুমার, সুপার বুলবুল চৌধুরী, চিকিত্সক কাঞ্চন মণ্ডল। সবার সঙ্গে আলাদা আলাদাভবে কথা বলেন গোয়েন্দারা। হোমের যে ঘরে গুড়িয়াকে মারধর করা হয় সেই ঘর ঘুরে দেখেন গোয়েন্দারা। মারধরের পরই দেহ সরিয়ে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে সিআইডি। যে লাঠি দিয়ে গুড়িয়াকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেটি এখনও মেলেনি। শুরু হয়েছে লাঠির খোঁজ। শ্যামল এখনও পর্যন্ত দুটো লাঠি বের করে দেখিয়েছে। একটা লাঠি মিসেছে অফিস ঘর থেকে অন্যটা রান্নাঘর থেকে। দুটি লাঠিরই ফরেন্সিক হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
এর আগে সিআইডির নির্দেশে খেজুরদহের হোমে মাটি খুঁড়ে তল্লাসি চালানো হয়। কাজে লাগানো হয় স্নিফার ডগ। যদিও তল্লাসিতে কিছু মেলেনি। ২৪ ঘঅটার খবরের জেরে গত ১২ জুলাই প্রশাসনিক তত্পরতায় গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় গুড়িয়ার পচা গলা দেহ। হোমের এক আবাসিক ২৪ ঘণ্টার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ২৬ তারিখ গুড়িয়াকে মারধর করেছিল শ্যামল। সেই তথ্য এবং খুন ও প্রমাণ লোপাটের তত্ত্বকে সামনে রেখেই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি।
First Published: Monday, July 23, 2012, 17:45