Last Updated: July 19, 2012 22:44

গুড়িয়া হোমকাণ্ডে নয়া মোড়। এতদিন ধরে যে অভিযোগ উঠছিল অবশেষে সেই বিষয়ে কিছু তথ্য প্রমান হাতে এসেছে সিআইডির। জানা গেছে, এই হোমে আবাসিকদের ওপর নিয়মিত যৌন অত্যাচার চালানো হত। এমনকী গর্ভনিরোধক ব্যবহারেরও প্রমান মিলেছে। গুড়িয়ার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও সিআইডি পায়নি। সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক ছুটিতে থাকায় এই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে তদন্তকারী অফিসাররা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে, এই হোমে আবাসিকদের ওপরে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হত। মারধর করা হত তাঁদের। ঠিকমতো খেতে দেওয়া হত না। কোনও চিকিত্সা বা ওষুধপত্রের বন্দোবস্ত ছিল না। উদয়চাঁদ কুমার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে সিআইডি মনে করে। একাজে তার সহযোগী এবং একইভাবে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে শ্যামল ঘোষের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে গুড়িয়াকাণ্ডে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি আগামিকাল। রিপোর্ট পেশ করবেন স্বরাষ্ট্রসচিব। ইতিমধ্যে হুগলি জেলা পুলিস ও সিআইডি-র পক্ষ থেকে একটি করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরে। তার ভিত্তিতেই আগামীকাল স্বরাষ্ট্রসচিব রিপোর্ট দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। গুড়িয়া মৃত্যুকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়। ঘটনার তদন্তচকারী সংস্থা সিআইডির পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রদফতরে। মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ, উদয়চাঁদ কুমার সহ সবমিলিয়ে এই মামলায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে।
গুড়িয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া না গেলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন স্বাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে সিআইডি জানতে পেরেছে, প্রশাসনের তরফেও এই হোমে নজরদারির কোনও ব্যবস্থা ছিল না। জেলা বা মহকুমাস্তরের সমাজকল্যাণ আধিকারিক শেষবার এই হোমে গিয়েছিলেন ২০১১-র জুন মাসে। একদিকে হোম কর্তৃপক্ষের বিকৃত মানসিকতা এবং অন্যদিকে প্রশাসনিক নজকদারির অভাবই গুড়িয়া এবং তার সঙ্গীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
First Published: Thursday, July 19, 2012, 22:55