Last Updated: October 22, 2011 15:55

প্রথা ভেঙে বাকি মুখ্যমন্ত্রীদের আগেই বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে তাঁর বক্তব্যের সারবত্তা ছিল রাজ্যকে বাড়তি সাহায্য দিক কেন্দ্র। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ সাহায্য পাওয়ার যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী । শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটমোচনের জন্য আরও একবার কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার ফের একবার জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পরেই বক্তব্য রাখেন তিনি। তাঁর ২৩ পাতার বক্তব্যের সিংহভাগটা জুড়েই ছিল পশ্চিমবঙ্গের দাবিদাওয়ার বিষয়গুলি। কেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ প্যাকেজের প্রয়োজন সেই যুক্তিগুলোই বক্তব্যে পেশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে এক করে দেখা ঠিক হবে না। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্য আর্থিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গকে কেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া উচিত তার সমর্থনে সাতটি যুক্তি পেশ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁর মতে এই মূহুর্তে রাজ্যের মাথাব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ ঋণের বোঝা। সুদ দিতেই আয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। রাজ্যের এগারোটি জেলা উন্নয়নের নিরিখে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে এই জেলাগুলোর উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায়্য। একইভাবে কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়া দার্জিলিং-পাহাড়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। দার্জিলিং-এ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেশের অন্যন্য রাজ্যের তুলনায় অনেটাই খারাপ। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য,সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিশেষ জোর দিতে চাইছে রাজ্যসরকার আর তার জন্য দরকার বাড়তি অর্থের। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর আরও বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতেও ব়ড়সড় আর্থিক অঙ্কের প্রয়োজন। তিনি বলেন রাজ্যের মাওবাদী এলাকায় উন্নয়ন জরুরি। তাদের প্রভাব বাড়াতে পেরেছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় উন্নয়নের জন্য ঢালাও কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন বলে দাবি
মুখ্যমন্ত্রীর। এছাড়াও রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কেন্দ্রের বিশেষ সাহায্যের দাবি করেন তিনি। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করতেই এই বৈ
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর যুক্তি পেশ করেছেন ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং সাংবিধানিক গণ্ডীর মধ্যে থেকে কেন্দ্র রাজ্যের পাশে কতটা দাঁড়াবে এখন প্রশ্ন সেটাই।
First Published: Saturday, October 22, 2011, 15:56