Last Updated: July 10, 2012 22:43

জিটিএতে পাঁচটি মৌজার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ সমতল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এবারের উত্তরবঙ্গ সফর আলাদা মাত্রা পাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পাহাড় ও সমতলের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকের পর একগুচ্ছে প্রকল্পের কথা ঘোষণাও করেন তিনি। একদিকে জিটিএ নির্বাচন, অন্যদিকে ডুয়ার্স ও তরাইয়ের জমে থাকা ক্ষোভ-এই দুইয়ের মধ্যে সমতা বজায় রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর এবারের উত্তরবঙ্গ সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জিটিএ-র দাবি মেনে নেওয়া এবং ডুয়ার্সের পাঁচটি মৌজাকে জিটিএ-এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তরাই ও ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই ক্ষোভ সামাল দিতে জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কোচবিহারেও তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির ক্ষোভ প্রশমিত করতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী ১৮ অগাস্ট তিনি বহু প্রতীক্ষিত সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করবেন।
জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের পর মুখ্যমন্ত্রী গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাহাড়ের কালিম্পং মহকুমাকে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়ক হরকা বাহাদুর ছেত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক বেশ ভালো। মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যেনতেন প্রকারেণ জিটিএ নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে। সেই লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবার কালিম্পংও যাচ্ছেন তিনি। সবমিলিয়ে পাহাড় এবং সমতলের মন জয়ের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর কতটা কাজে দেয় সেটাই দেখার।
First Published: Tuesday, July 10, 2012, 22:47