Last Updated: January 23, 2012 21:02

ছাব্বিশজন নন, মাত্র একজন। কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে রাজ্যপালের কড়া প্রতিক্রিয়ার পরই পূর্ব অবস্থান থেকে সরে এসে, রাজ্যে একজন কৃষকের আত্মহত্যার কথা মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্বেগ নয়, আগাগোড়া মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টাকে লঘু করতেই উদ্যমী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষক আত্মহত্যা নিযে যাবতীয় অভিযোগ আসলে অপপ্রচার। বহুদিন ধরেই একথা বলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ইস্যুতে সোমবার মুখ খোলেন রাজ্যপাল। ঋণের দায়েই কৃষকরা আত্মঘাতী হচ্ছেন, একথা স্পষ্ট করে, অবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি।
রাজ্যপালের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুর পাল্টালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে একজন কৃষকের আত্মঘাতী হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু উদ্বেগ নয়, কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাকে লঘু করে দেখাতেই সচেষ্ট ছিলেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মতপার্থক্য এই প্রথম নয়। এর আগে কলেজে কলেজে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাত্ করে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই ধরনের স্পর্শকাতর ইস্যুতে সরকারের কাজে যে রাজ্যপাল সন্তুষ্ট নন তা স্পষ্ট। সেই কারণেই কি রাজ্যপালের বক্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যে তড়িঘড়ি কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে পূর্ব অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও সরলেন মুখ্যমন্ত্রী?
অন্যদিকে কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানের কড়া সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রধান শাসকদলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মা-মাটি-মানুষের সরকারকে কৃষক চেনাতে হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর অভিযোগ, বিষটিকে লঘু করে দেখাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারের দাম বাড়ানো এবং ফসলের দাম ধার্য করার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ তার বিরূপ প্রভাব যে কৃষিতে পড়বে, এখন তা স্বীকার করতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও মুখ্যমন্ত্রীর কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা অস্বীকার করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
First Published: Monday, January 23, 2012, 23:26