Last Updated: November 19, 2013 10:01
বীরভূমের দুবরাজপুর-খয়রাশোল রমরম করে চলছে বেআইনিভাবে কয়লা তোলা আর পাচার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিসের সাহায্যেই চলছে কয়লা পাচার। পুলিস অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, বীরভূমের দুশো দশ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে উন্নতমানের কয়লা। দুহাজার পাঁচ সালে এই রিপোর্টের পরই বাম জামানায় কয়লা তোলার কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র পায় দুটি সংস্থা। দুবরাজপুর আর খয়রাশোলে শুরু হয় দুটি প্রকল্প। কিন্তু তৃণমূল সরকার আসার পর অবশ্য নতুন করে কোনও সংস্থাকেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলছেন, কয়লা শিল্প চালুর কথা। কিন্তু শিল্প চালু না হওয়ায় প্রতিদিনই চলছে অবৈধভাবে কয়লা তোলা। দিনদিন বাড়ছে বেআইনি কয়লার রমরমা ব্যবসা।
ইতিমধ্যেই কয়লার বেআইনি কারবারের দখলকে কেন্দ্র করে দুবরাজপুর-খয়রাশোলে খুন হয়ে গিয়েছে শাসক দল তৃণমূলেরই ছজন কর্মী। তেমনটাই তো বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এখন এই বেআইনি কয়লা কারবারিরা শুধুমাত্র বীরভূমেরই নন। মুর্শিদাবাদ এবং সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড থেকেও খয়রাশোল দুবরাজপুরে জাঁকিয়ে বসছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা পুলিসের একটা বড় অংশও নাকি জড়িয়ে পড়েছে এই কয়লা কারবারে। সঙ্কেত ব্যবহার করেই পুলিসের সামনে দিয়েই চলছে পাচার। সংকেত নাকি জেএলপি লেখা এই কুপন। জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই কুপন দেখলেই পুলিসকর্মীরা আর আটকাচ্ছেন না বেআইনিভাবে তোলা কয়লা ভর্তি লরি। মুর্শিদাবাদ-বীরভূম সীমানায় রীতিমতো অফিস তৈরি করে এই কুপন নাকি বিলি করে একটি সংস্থা।
পুলিস অবশ্য এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সরকার নতুন করে কয়লা তোলার ছাড়পত্র দিলে যেমন বাড়ানো যেত রাজস্ব, তেমনই আটকানো যেত অপরাধ।
First Published: Tuesday, November 19, 2013, 10:01