Last Updated: September 1, 2013 21:54

সেই মাজদিয়া আর রায়গঞ্জ কলেজের পুনরাবৃত্তি। সন্দেশখালির কালিনগরে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় জেল হেফাজতে যেতে হল অভিযুক্ত এসএফআই সমর্থকদের। আর ইটাহার কলেজে অধ্যক্ষকে নিগ্রহ করেও বহাল তবিয়তে রইলেন অভিযুক্তরা। হরিরামপুরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককের ওপর হামলা হলেও পুলিস চোখ বন্ধ করে থাকল। অর্থাত্, অভিযোগ এক কিন্তু ফল ভিন্ন।
উত্তর চব্বিশ পরগনার কালিনগর কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নিগ্রহের ঘটনায় ২৪ জন এসএফআই সমর্থকের দু দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে এই ঘটনায ইতিমধ্যেই এস এফ আই এর তরফে ১১ জন টিএমসিপি সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এসএফআই। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
কালিনগর কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নিলেও ইটাহারে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তরা অবশ্য প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত মঙ্গলবার নকলে বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয় ইটাহারের মেঘনাদ সাহা কলেজের অধ্যক্ষ স্বপ্না মুখার্জি সহ অন্য শিক্ষকদের। ঘটনায় সরাসরি অভিযোগ ওঠে জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গৌতম পালের বিরুদ্ধে। গৌতম পাল , তাঁর স্ত্রী পম্পা পাল ও তৃণমূল কর্মী বাবুসোনাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিস। গণ টোকাটুকি বন্ধও হয়নি ইটাহার কলেজে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে শনিবার নকলে বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি। গোটা ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিষ্ট্রার শ্যাম সুন্দর বৈরাগ্য ও পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাস। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিস
রায়গঞ্জ কলেজ বা মাজদিয়ায় অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। এবারও ইটাহারে শাসকদলের নেতা গৌতম পালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। হরিরামপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে নিগ্রহ করেও পুলিসের থেকে পার গেয়ে গেল অভিযুক্তরা । প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতির উর্ধে উঠতে পারছে না প্রশাসন ? শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ থাকাতেই কি ছাড় পেয়ে যাচ্ছে ইটাহার বা হরিরামপুরের অভিযুক্তরা?
First Published: Sunday, September 1, 2013, 21:54