দুই নাইজেরীয় পিঠোপিঠি` বোনকে আলাদা করল দিল্লির হাসপাতাল

দুই নাইজেরীয় পিঠোপিঠি` বোনকে আলাদা করল দিল্লির হাসপাতাল

দুই নাইজেরীয় পিঠোপিঠি` বোনকে আলাদা করল দিল্লির হাসপাতালদুই বোন। পিঠোপিঠি। না শুধু কথার কথা না। এক্কেবারে পিঠোপিঠিই। কারণ দুজনের একটাই মেরুদণ্ড। শরীরের নীচের অংশ পুরোপুরি জোড়া। সেই দুই শিশুকেই অস্ত্রোপচার করে আলাদা করলেন দিল্লির চিকিত্সকরা। নতুন জীবন পেল নাইজেরিয়ার হুসেইনা আর হাসানা।

জন্ম থেকেই ওরা ছিল এরকম। দশমাস এভাবেই কাটিয়েছে ওরা। কিন্তু, এভাবেই কী কাটাতে হবে বাকি জীবনটা? এই একটা প্রশ্নের উত্তরই গত দশমাস ধরে খুঁজে আসছিলেন হুসেইনা আর হাসনার বাবা-মা। আর সেই খোঁজেই তাঁরা যোগাযোগ করেন দিল্লির এই হাসপাতালে। মেলে আশ্বাস। নাইজেরিয়ার দুই বোনকে আনা হয়হাসপাতালে। গঠন করা হয় ৪০ সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ড। কারণ, এভাবে জুড়ে থাকা দুটি মানবশরীরকে আলাদা করা নেহাত সহজ নয়। কিন্তু, সেই অসাধ্যই সাধন করে দেখালেন চিকিত্সকেরা। টানা তেরো ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে এল সাফল্য।
 
আজ আর পিঠোপিঠি না। মুখোমুখি বসেছে হুসেইনা আর হাসানা। চিকিত্সকদের ধন্যবাদ জানানোর মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না ওদের মা।

কিন্তু, এখান থেকেই নতুন করে লড়াই শুরু করতে হবে দুই বোনকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি হবে প্রত্যঙ্গের। তখনও হয়তো ছায়া ফেলবে জন্মগত সমস্যাটি। এরপরও হয়তো প্রয়োজন হবে আরও কয়েকটি অস্ত্রোপচারের। কিন্তু, এবারের থেকে সেগুলি হবে নগণ্যই। অন্তত চিকিত্সকরা তো তাই বলছেন। তাই নতুন জীবনের পথে হেঁটে এবার ঘরে ফেরার পালা হুসেইনা আর হাসানার।

First Published: Friday, September 6, 2013, 12:35


comments powered by Disqus