Last Updated: February 15, 2012 21:19

পার্কস্ট্রিট কাণ্ডের তদন্তে অভিযোগকারী মহিলাকে ফের জেরা করল পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দারা তাঁকে একটানা জেরা করেন। মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছেন গোয়েন্দারা। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মহিলা যেমন গাড়ির কথা বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার রাতে একই মডেলের গাড়িতে তাঁকে বিভিন্ন জয়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। যে যে জায়গার কথা মহিলা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, সব জায়গাতেই যায় পুলিস। গোয়েন্দাদের দাবি, মহিলা এফআইআর-এ যেমন ভাবে অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণে তার সঙ্গে তথ্যের বিশেষ কোনও ফারাক নেই।
পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণ কাণ্ডে দুদিন ধরে আক্রান্ত মহিলাকে দফায় দফায় জেরার পর পুলিস প্রশাসনের তরফে প্রশ্ন তোলা হল অভিযোগের সারবত্তা নিয়েই। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বললেন, সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই সাজানো অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর বক্তব্য, তদন্তে সব সত্যই প্রমাণিত হবে। মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কার্যত একই অভিযোগ তুললেন পুলিস কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দা। মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই বিবৃতি দিলেন তিনি। পুলিসের বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে কার্যত অভিযোগকারীর উপরেই দায় চাপিয়েছেন নগরপাল।
কমিশনার বলেন, "উনি (ধর্ষিতা) এটাও অভিযোগ করেন যে শরাফত আলি এবং আজহার (ঘটনার সঙ্গে) যুক্ত ছিলেন। পুলিস যে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তার ভিত্তিতে জানা গেছে যে সেই সময় ওঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।"
এই ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা গাফিলতি করে পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করতে দেরি করেছে। ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করাতেও দেরি করেছে পুলিস। কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিস কমিশনার পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন অভিযোগ নিয়েই।
একমাত্র পুলিসের বিরুদ্ধে মহিলা যে অশালীন আচরণের অভিযোগ করেছেন, তা নিয়েই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্, মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই নগরপাল কার্যত জানিয়ে দিলেন, মহিলার অভিযোগের ভিত্তি নেই।
এর আগে, মহাকরণে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, সংবাদমাধ্যম চক্রান্ত করেই এই খবর নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
First Published: Friday, February 17, 2012, 12:34