Last Updated: December 15, 2012 09:23

পাক হেফাজতে ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অবিলম্বে ইসলামাবাদকে ব্যবস্থা নিতে বলল নয়াদিল্লি। গতকাল ভারতে এসে এবিষয়ে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিকের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মালিক বলেন, আবহাওয়া নাকি পাক সেনার বুলেট, ক্যাপ্টেন কালিয়ার মৃত্যুর কারণ কি তা তিনি জানেন না।
কার্গিল যুদ্ধের সময় পাক হেফাজতে ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়া ও পাঁচ ভারতীয় জওয়ানের নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে অস্বস্তিতে ইসলামাবাদ। ক্যাপ্টেন কালিয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন দিয়েছে ভারতে এসে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর মন্তব্য। উনিশশো নিরানব্বই সালে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়াই প্রথম পাক অনুপ্রবেশকারীদের উপস্থিতি নজর করেন। এরপরই পাক সেনার হাতে ধরা পড়েন ক্যাপ্টেন কালিয়া ও তাঁর সঙ্গী ৫ জওয়ান। প্রায় ২২দিন পর ওই ৬ ভারতীয় সেনার দেহ ফেরত দেয় পাকিস্তান। পাক হেফাজতে ওই ৬ ভারতীয় সেনার ওপর অকথ্য নির্যাতন হয়েছে তা তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ থেকেই স্পষ্ট ছিল। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে রেহমান মালিক বলেন, সৌরভ কালিয়ার মৃত্যুর কারণ আবহাওয়া না পাক সেনার গুলি এবিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। যদিও ক্যাপ্টেন কালিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীর এই দাবিতে ক্ষুব্ধ ক্যাপ্টেন কালিয়ার বাবা এন কে কালিয়া।
নিহত ক্যাপ্টেন কালিয়ার বাবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেনিভা কনভেনশনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতে তোলার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংগঠনও আর্জি জানিয়েছেন এন কে কালিয়া। শুক্রবারই এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। এই ইস্যুতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে না চাইলেও, আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতে যাওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছে আদালত। যদিও ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু হওয়ার কারণে সৌরভ কালিয়ার মৃত্যু নিয়ে এখনই আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে নারাজ ভারত। বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে তোলার ক্ষেত্রেও জটিলতা আছে বলে মনে করেন বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ।
তবে সৌরভ কালিয়া প্রসঙ্গ যে ভারত হাল্কাভাবে নিচ্ছে না তা শুক্রবার দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে অবিলম্বে ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়াসহ ছয় ভারতীয় সেনার ওপর নির্যাতন ও খুনের ঘটনার জড়িতদের শাস্তি দাবি জানান হয়েছে।
First Published: Saturday, December 15, 2012, 09:31