Last Updated: July 15, 2013 23:47

আশঙ্কাকে সত্যি করে দ্বিতীয় দফাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত সেক্টর অফিসে বসিয়েই রাখা হল। ৩ জেলার অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে টহলদারিতেও দেখা গেল না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। যার জেরে ভোটসন্ত্রাসে প্রাণ গেল তিন জনের।
প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে ভোট করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় দফাতেও ব্যতিক্রম হল না। খাতায় কলমে দেখানো হলেও, বাস্তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করার নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছিল জেলার পুলিস সুপারদের কাছে। আপত্তি করায় জেলা পুলিসের বেশ কয়েকজন কর্তাকে বিপাকে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এতদিনের আশঙ্কাটা প্রকাশ্যে এল সোমবার।
দ্বিতীয় দফায় তিন জেলার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বর্ধমান। শনিবার রাত থেকেই বীরভূম, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া থেকে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবু জেলা সীমানা সিল করার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। তার উপর নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এবার ভোটের দিনই বর্ধমান জেলায় খুন হলেন তিন জন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখার ফলটা ভুগতে হল সাধারণ মানুষকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই নতুন বিতর্কও তৈরি হল। কাঁথির দইসাই প্রাইমারি স্কুলে মোতায়েন আলিপুর ও বারাকপুর বডিগার্ড লাইনের দুই পুলিসকর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক পরে ডিউটি করতে দেখা যায়। একই ঘটনা ঘটে কানাইদিঘিতেও। ধন্দে পড়ে যান ভোটাররা।
চব্বিশ ঘণ্টায় সেই ছবি সম্প্রচারের পরেই তড়িঘড়ি ওই পুলিসকর্মীদের পোশাক বদলে ফেলা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করে বিতর্কে জড়িয়ে যাওয়া সরকার কি সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাতেই রাজ্য পুলিসের কর্মীদের গায়ে তুলে দিয়েছে জলপাই পোশাক? প্রশ্নটা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
First Published: Monday, July 15, 2013, 23:47