Last Updated: October 13, 2013 20:04

সঠিক পূর্বাভাস সঙ্গে অসাধারণ প্রশাসনিক তত্পরতা। যার জেরে পাইলিনের মতো ভয়াবহ সাইক্লোনেও খুব বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটল না। শনিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে গোপালপুর উপকূলে আছড়ে পড়ে পাইলিন। কিন্তু, আবহাওয়া দফতরের আগাম সতর্কতার ভিত্তিতে তার আগেই ৯ লক্ষ মানুষকে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূল থেকে সরিয়ে ফেলে প্রশাসন। ঝড়ের আগেই গাছ পড়ে ওড়িশায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে এক বৃদ্ধ ও এক মতস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ঝড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ফসল। বন্ধ ট্রেন চলাচল। বিদ্যুত্হীন ৭টি জেলা।
ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ব্যাপক ক্ষতক্ষতি চালানোর পর সাইক্লোন পাইলিন এখন অনেকটাই দুর্বল। ওড়িশার উত্তরাংশে আপাতত অবস্থান করছে সাইক্লোনটি। যার প্রভাবে বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক অংশে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলছে। সাইক্লোন পাইলিন শিগগিরই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যার জেরে বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
পাইলিনের আগাম সতর্কতা পেয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেল প্রশাসন। যার জেরে চরম সঙ্কটে পড়েছেন পুরীতে আটকে থাকা পর্যটকরা। বাড়ি ফেরার জন্য বিশেষ ট্রেনের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। বিদ্যুত্, খাদ্য, পানীয় জলের অভাব রয়েছে। বিচ্ছিন্ন মোবাইল পরিষেবা। সুযোগ বুঝে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম। মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত তিন। কেশপুর, মেদিনীপুর সদর ব্লক, চন্দ্রকোণা এক নম্বর ব্লকে ভেঙে পড়েছে প্রচুর মাটির বাড়ি। গাছ পড়ে ব্যহত হয়েছে বিদ্যুত্ পরিষেবা।.
First Published: Sunday, October 13, 2013, 20:04