Last Updated: October 7, 2011 13:50

দিল্লি হাইকোর্ট বিস্ফোরণ কাণ্ডে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনআইএ। ধৃত ব্যক্তির নাম ওয়াসিম আহমেদ। ওয়াসিম জম্মু-কাশ্মীরের কিশতোয়ারের বাসিন্দা। কিশতোয়ারেরই আরও তিনজনের সঙ্গে বাংলাদেশের সিলেটে ইউনানি মেডিসিন পড়তে গিয়েছিল ওয়াসিম। সকলেই হরকত উল জিহাদির সক্রিয় সদস্যবলে জানতে পেরেছে এনআইএ। দিল্লি বিস্ফোরণের পর জম্মুর কিশতোয়ার থেকে পাঠানো প্রথম ই-মেলটির সূত্র ধরেই ওয়াসিমকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃত ওয়াসিমের চোদ্দদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত। ঠিক একমাসের মাথায় দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে বড়সড় সাফল্যের দাবি করল এনআইএ। গত সাতই সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের সামনে বিস্ফোরণের পর ঘটনার দায় স্বীকার করে কিশতোয়ার থেকে প্রথম ই-মেলটি করা হয়। দিল্লি বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে হুজির হাত। জম্মুর কিশতওয়ার থেকে এই ই-মেল পাঠানোর জেরে গ্রেফতার করা হয় আমির আব্বাস দেভ এবং আবিদ হুসেইনকে। সেই ই-মেলের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে এনআইএ। বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত আমির আব্বাস দেভের এনআইএ হেফাজতের মেয়াদ চোদ্দই অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল দিল্লির পাটিয়ালা কোর্ট। কিশতোয়ার থেকে গ্রেফতারের পর গত একুশে সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আনা হয় আমির আব্বাস দেভকে। এনআইএ-র অনুমান, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম চক্রান্তকারী হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য জুনেইদ আক্রম। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ধৃত ওয়াসিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জুনেইদ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
First Published: Friday, October 7, 2011, 19:05