Last Updated: May 21, 2012 22:36

টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ফিল্ম-সমালোচক রিচার্ড করলিস সঞ্জয় লীলা বনশালী পরিচালিত `দেবদাস` সিনেমাটিকে এই সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ ১০টি সিনেমার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। দেবদাসের পাশাপাশি ওই লিস্টে আছে ম্যুলা রুজ, হার্ট লকার, হোয়াইট রিবন, অবতার এবং ক্রাউচিং টাইগার হিডেন ড্রাগনের মতন সিনেমা।
করলিসের কথায় `১৯১৭ সালে লেখা একটি উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে বানানো এই সিনেমাটি আমাদের চিরাচরিত পারিবারিক মুল্যবোধের কথা বলে। ধনী নায়ক বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, প্রেমিকাকে ত্যাগ করে এবং এক দেহপোজীবিনির সঙ্গে অবর্ণণীয় ভাগ্য-বিপর্যয়ে জড়িয়ে পড়ে। পুরো ব্যাপারটাই এতটাই বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে দেখান হয়েছে যে এমনকি ন`টি গান এবং তাদের সাথে নাচগুলোকেও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। আবেগ-ই হল এই ছবির মূল উপজীব্য। দেবদাস আসলে এক দৃশ্যসুখের সিনেমা, তার জাঁকজমকপূর্ণ সেট, সুন্দরী নায়িকা এবং ঝকমকে পোষাক সমেত। পুরনো দিনের হলিউড মুভি-মুগলরা এমন জাঁকজমক-ই পছন্দ করতেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই খবর রোমাঞ্চিত বনশালী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন `দশ বছর পরেও সিনেমাটি হারিয়ে যায়নি। এই ছবির ১০ বছর পূর্তিতে আমরা এর `থ্রিডি ভার্সন` বানাতে চলেছি। দেবদাস মুক্তি পাবার পর ভারতীয় সমালোচকরা অতিনাটকীয়তার জন্য সমালোচনায় একে বিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু করলিস এই মেলোড্রামাকেই পছন্দ করেছেন। আজ আমার মনে হচ্ছে আমার লড়াই সার্থক`।
বনশালী আরও জানিয়েছেন তিনি ভারতের বাইরে সর্বত্র এই ফিল্মের প্রশংসা পেয়েছেন। `২০০৮ সালে প্যারিসে পদ্মাবতী অপেরাটি করার সময় আমি একটা কাফেতে যাই। সেইখানে কাউন্টারের মহিলা আমায় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান `আপনি দেবদাসের দেশের মানুষ` বলে। আমি ওনাকে বলিনি যে আমি-ই সিনেমাটা বানিয়েছি। আমি শুধু জিজ্ঞাসা করলাম তাঁর কেন ভাল লেগেছিল। তিনি বললেন সিনেমার জাঁকজমক, গান এবং নাচের জন্য। ঠিক এই জিনিসগুলোর জন্যই আমি ভারতবর্ষে সমালোচিত হয়েছিলাম।`
বনশালী আরও বলেছেন তিনি আবার সাহিত্যমুলক সিনেমা বানানোর দিকে ঝুঁকবেন। `আমার পরের সিনেমাটি একটি সাহিত্যের ওপর ভিত্তি করে বানানো হচ্ছে। আর এতে রচুর নাচ গানের সমাহার থাকছে।`
First Published: Tuesday, June 5, 2012, 13:19